
বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘মন্থা’। জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এবং মঙ্গলবার সন্ধে বা রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ইতিমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। ওড়িশা এবং তামিলনাড়ুতেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া রয়েছে। রাজ্যের কিছু জেলাতেও রাতের দিকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী, অন্ধ্রপ্রদেশের ১৯টি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া তিন জেলায় কমলা এবং চার জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দর থেকে কিছু উড়ান বাতিল করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে। বর্তমানে এটি অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছে এবং ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে উত্তর-উত্তর পশ্চিম অভিমুখে স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে। সন্ধে বা রাতের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম এবং কলিঙ্গপত্তনমের মাঝে আছড়ে পড়তে পারে। তখন ঘূর্ণিঝড়ের গতি ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা হতে পারে।
ওড়িশার দক্ষিণ ভাগের আট জেলায় মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গঞ্জাম, গজপটি, কোরাপুট, রায়গড় এবং মালাকানগিরি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, যেখানে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া পুরী সহ আরও ১১ জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী দুই জেলা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার উপকূলবর্তী সমুদ্র ইতিমধ্যেই উত্তাল। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু জানিয়েছেন, ৩,৭৭৮টি গ্রামে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে তামিলনাড়ুর উপকূলেও। প্রশাসন ইতিমধ্যেই নিচু এলাকাগুলি থেকে মানুষকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করতে শুরু করেছে।