করোনার মধ্যেই সাইক্লোন তাওকতের দাপটে বিধ্বস্ত ভারতের পশ্চিম উপকূল। কেরালা, মহারাষ্ট্র, গুজরাটে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে সাইক্লোন। এরই মধ্যে দেশের পূর্ব উপকূলেও হানা দিতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় যশ। ইতিমধ্যেই ওড়িশা ও বাংলার জন্য সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্র।
মৌসম ভবনের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরের উপর শনিবার একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার কথা, যা ক্রমশ শক্তিবৃদ্ধি করবে। রবিবার আরও শক্তিবাড়িয়ে ক্রমশ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এই নিম্মচাপটি। সোমবার আরও তীব্র হবে সাইক্লোন যশ। ৭২ থেকে ১২০ ঘন্টা নিম্মচাপ স্থায়ী হবে বঙ্গোপসাগরে।
কী কী জানান হয়েছে কেন্দ্রের তরফে?
ঘূর্ণিঝড়ের জন্য করোনা অতিমারীতে সঙ্কট দেখা দিতে পারে স্বাস্থ্য সেবায়। প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুতের কথা জানান হয়েছে।
ওড়িশার ৩০টির মধ্যে ১৪টি জেলায় হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। ওড়িশা সরকার ভারতীয় নৌবাহিনী এবং ভারতীয় উপকূলরক্ষীদের সবরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে।
ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ছাড়াও আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং পূর্ব উপকূলের জেলাগুলিতেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে, যার জেরে বন্যার আশঙ্কাও রয়েছে।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন করা হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়। সাইক্লোন তাওক্তের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিম উপকূলে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে একাধিক এনডিআরএফ কর্মীদের মোতায়েন করা ছিল। এবার তাঁদের পূর্ব উপকূলে ফের পাঠানো হবে।