পুজোর শেষলগ্নে বঙ্গোপসাগরে অতিগভীর নিম্নচাপের জেরে দশমী থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। বিশেষ করে উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি চলছে। IMD র সর্বশেষ আপডেট বলছে, নিম্নচাপটি গত ৬ ঘণ্টায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের দিকে সরেছে। আজ অর্থাত্ ৩ অক্টোবর ওড়িশার ফুলবনী, ভবানীপটনা, সম্বলপুর ও ঝারসুগড়া এলাকায় রয়েছে। এবং ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা থাকলেও, উত্তরবঙ্গের দিকে, বিশেষ করে দার্জিলিং পাহাড় এবং সিকিমে ভারী দুর্যোগের সতর্কবার্তা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পর্যটকদের অ্যালার্ট
পুজো মিটতেই ছুটিতে বহু মানুষ উত্তরবঙ্গ ও সিকিম বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেছেন। অনেকে বেরিয়েও পড়েছেন। এহেন পরিস্থিতিতে পর্যটকদের জন্য দুর্যোগের সতর্কবার্তা। স্পেশাল বুলেটিনে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও ডুয়ার্স এবং সিকিমে শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে। একইসঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং সহ পাহাড়ি এলাকায় ধস নামতে পারে। সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গন থেকে গ্যাংটক যাওয়ার রাকডং টিনটেক রোড এখন সম্পূর্ণ চালু থাকলেও, ফোডং রোড দিয়ে শুধুমাত্র কম যানবাহন চলাচল করছে। মঙ্গন–চুংথাং সংযোগকারী তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রুট প্রায় বন্ধ। রিংখোলা এলাকায় ফিডাং–সাংলালাং রোড ধসে বন্ধ হয়ে আছে। সাংলালাং–শিপগিয়ার রোড এডিএমএস অঞ্চলও বিপর্যস্ত। লাচেন যাওয়ার রাস্তা ধসের জেরে কার্যত বন্ধ। তবে লাচুং ও চুংথাং যাওয়ার রাস্তা ঠিক আছে।
কতদিন বৃষ্টি চলবে নিম্নচাপের জেরে?
দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত খবর, নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি ৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। IMD জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত একাধিক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) হতে পারে। কলকাতা ও হাওড়াতেও এক দু’ জায়গায় ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) হতে পারে। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ ও কাল ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি
এছাড়া উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে আজ অর্থাত্ শুক্রবার ও আগামিকাল শনিবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।