ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সাংসদ ও অভিনেতা দেব। পাশাপাশি, ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু কী কারণে তাঁর এই সিদ্ধান্ত, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদ গঠিত হওয়ার পর থেকে দেবকে ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া তাঁকে ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষীকি মহাবিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানও করা হয়। ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানও করা হয় দেবকে। একসময় তাঁকে ঘাটাল কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানও করা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ে গর্ভনিং বডির চেয়ারম্যান হিসাবে দেবকে মেনে নিতে পারেননি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক শংকর দোলই ও তাঁর অনুগামীরা। দেবের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আদালতে মামলাও করেন শংকরবাবুর অনুগামীরা। এমনকি ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চেয়ারম্যান পদেও মানতে পারেননি তাঁরা। যেকারণেই টানাপোড়েন শুরু হয়। যেকারণেই অভিনেতা সাংসদ পদত্যাগ করতে পারেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তবে লোকসভা ভোটের মুখে এই পদত্যাগে শাসকদল তথা গোটা রাজ্য রাজনীতিতেই তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, দেব এবারের লোকসভা ভোটে আর নাও দাঁড়াতে পারেন। সূত্রের খবর, কিছুদিন ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল অভিনেতার। তিনি আর রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় ছিলেন না বলেও শোনা যাচ্ছিল। সেইসঙ্গে খবর মিলছিল দলীয় কোন্দলের। সেইসবের কারণেই তাঁর ওই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিষয়টিতে অভিনেতা বা তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি মেলেনি।