Advertisement

Dholahat Blast: 'কীভাবে আগুন যারা বলতে পারতেন, তাঁরা কেউ বেঁচে নেই,' বলছেন সুপ্রতিম

দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা থানার ঢোলাহাটে সোমবার রাতে একটি বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে একই পরিবারের আটজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে চারটি শিশু রয়েছে, যাদের বয়স ছয় মাস থেকে নয় বছর পর্যন্ত। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই বাড়িতে বেআইনিভাবে আতশবাজি মজুত করা হয়েছিল, যা বিস্ফোরণের মূল কারণ হতে পারে।​

সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিক বৈঠক করছেন।-ফাইল ছবিসুপ্রতিম সরকার সাংবাদিক বৈঠক করছেন।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 01 Apr 2025,
  • अपडेटेड 4:19 PM IST
  • দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা থানার ঢোলাহাটে সোমবার রাতে একটি বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে একই পরিবারের আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
  • মৃতদের মধ্যে চারটি শিশু রয়েছে, যাদের বয়স ছয় মাস থেকে নয় বছর পর্যন্ত।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা থানার ঢোলাহাটে সোমবার রাতে একটি বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে একই পরিবারের আটজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে চারটি শিশু রয়েছে, যাদের বয়স ছয় মাস থেকে নয় বছর পর্যন্ত। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই বাড়িতে বেআইনিভাবে আতশবাজি মজুত করা হয়েছিল, যা বিস্ফোরণের মূল কারণ হতে পারে।​

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রায় এক দশক ধরে ওই বাড়িতে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি ও মজুত করা হচ্ছিল, যা পুলিশ প্রশাসনের নজরে ছিল। তবে, ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক ও তার ভাই পলাতক রয়েছেন, এবং তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।​

বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বাড়ির ছাদের একাংশ উড়ে গেছে, সিলিং থেকে বড় অংশ খসে পড়েছে, এবং আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়াও, বাড়ির আশেপাশে বাজির খোল পড়ে থাকতে দেখা গেছে।​

পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কারখানাটির লাইসেন্স ও নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, 'কীভাবে আগুন লাগল সেটা যারা বলতে পারত, তারা কেউ বেঁচে নেই। পুলিশ বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করে সচেতনতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে, যাতে লোকালয়ে বাজি মজুত ও উৎপাদন বন্ধ করা যায়।'

এডিজি আরও বলেন, 'নির্দিষ্ট মামলা দায়ের করে তদন্ত চলছে। ২০২২ সালেও চন্দ্রনাথকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। লাইসেন্সের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই, মাশুল তারাই দিচ্ছেন । একটা বাজি ব্যবসায় বহু মানুষ জড়িত থাকেন, কিন্তু কোথাও গিয়ে সচেতনতার অভাব আমরা লক্ষ্য করছি। বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে আমরা বসব, আলোচনা করব। বাজির স্টোরেজটা যেন লোকালয়ে না হয়। এই সচেতনতাবোধটা আমরা বাজি শিল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন, তাঁদের আমরা বলব।'

 

Read more!
Advertisement
Advertisement