ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা তৃণমূলে। বিজেপিতে জোগ দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গতকালই সেখানে প্রচারে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই হঠাৎ বিজেপিতে যোগ দিয়ে দিলেন সেখানকার দাপুটে নেত্রী। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন মিতালী। তাঁর হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন সুকান্ত।
শনিবার অভিষেকের সভায় তাঁর গলায় উত্তরীয়ও পরিয়ে দেন মিতালী রায়। কিন্তু তার একদিনের মধ্যেই দলবদল করে ফেললেন তিনি। এর ব্যাখা করে মিতালী বলেন, ২০২১ সালে ভোটে হারার পর থেকে দল তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেনি। ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ধূপগুড়ির বিধায়ক ছিলেন তিনি। এরপর গত বিধানসভা ভোটেও টিকিট পেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়ের বিরুদ্ধে হেরে যান।
আবার তারই মাঝে ঘটে অঘটন। বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুর পর ফের ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের আয়োজন করা হয়। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সেই উপনির্বাচনের দিন। আর তার মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গেলেন মিতালী। তবে এবার এমনিতেও মিতালীকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। তাঁর পরিবর্তে নির্মলচন্দ্র রায়কে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল।
ওয়াকিবহাল মহলের খবর, সম্ভবত টিকিট না পাওয়াতেই দলের উপর মিতালীর ক্ষোভ ছিল। তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০২১ সালে হেরে যাওয়ার পর থেকে দল তাঁকে ব্রাত্য করে রেখেছিল।
মিতালীর সঙ্গে এই বিষয়ে দেখাও করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শনিবার তৃণমূলের প্রচার সভাতেও হাজির ছিলেন মিতালী। আর তাতেই মনে হচ্ছিল, হয় তো মিতালীর ক্ষোভ কমে গিয়েছে। কিন্তু এমনটা যে হবে, সেই প্রত্যাশা করেনি রাজনৈতিক মহল।
এদিন মিতালীর যোগদানের পর সুকান্ত বলেন, 'মিতালী জলপাইগুড়ি জেলার অন্যতম পরিচিত পরিবারের সদস্য। তিনি তৃণমূলে থাকতে পারছিলেন না। মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে তিনি তাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন। তাঁকে স্বাগত জানাই। আগামিদিনে মিতালিদির পদাঙ্ক অনুসরণ করে সকলেই বিজেপিতে আসবেন। তৃণমূলের পতন এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।'