প্রথমবার মহাসমারোহে রথযাত্রা উৎসব পালিত হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে। তবে তার আগে ১৫ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্দির। দর্শনের সুযোগ মিলবে না। জানেন কেন?
আসলে মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হচ্ছে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার শুভ মুহূর্ত। চলবে বুধবার অর্থাৎ ১১ জুন দুপুর পর্যন্ত। আর সেই রীতির পর নিয়ম মেনেই বন্ধ করে দেওয়া হবে জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের দরজা।
কেন বন্ধ থাকবে জগন্নাথ দর্শন?
স্নানযাত্রার পর জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রার তেড়ে জ্বর আসে। এমনই গাথা প্রচলিত আছে হিন্দু ধর্মে। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় এই সময়টা অন্তরালেই থাকেন তিন দেবতা। বিগ্রহগুলির দর্শন করতে দেওয়া হয় না কাউকেই। অনেকটা কোভিডকালের ‘কোয়ারেন্টাইন’ পর্বের মতো। জ্বর সারিয়ে ফের জগন্নাথদেব স্বমহিমায় দর্শন দেন।
রথযাত্রায় কী কী হবে দিঘায়?
দিঘা জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ১১ জুন অনুষ্ঠিত হবে স্নানযাত্রা উৎসব। এরপর থেকে ১৫ দিনের অবসর এই সময়ে মূর্তির দর্শন বন্ধ থাকবে। এই দিনগুলিতে ৫৬ ভোগের আয়োজনও করা হবে না। ২৬ জুন হবে নবযৌবন এবং নেত্র উৎসব। সবশেষে আগামী ২৭ জুন, আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হবে রথযাত্রা মহোৎসব।
দিঘা থানার পাশের পুরোনো মন্দিরকে ‘মাসির বাড়ি’ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ৭৫ লক্ষ টাকার প্রকল্পে পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রায় সম্পূর্ণ। ৭ দিন সেখানেই রাখা থাকবে ৩ বিগ্রহ। তবে মাসির বাড়িতে যাবে রথের নিম কাঠের মূর্তি। মন্দিরে থাকবে পাথরের বিগ্রহ।
দিঘা জগন্নাথ ধাম কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুসারে গত দেড় মাসে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ জগন্নাথদেবকে দর্শন করেছেন। রথের দিন গুলিতে আরও বাড়বে ভীড়। তাই ভীড় সামলতে এখন থেকেই দফায় দফায় প্রশাসনিক কর্তারা বৈঠক করছেন।