বাঙালির কাছে বরাবরই হাতের নাগালে বেড়ানোর ঠিকানা দিঘা। তবে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর থেকে সেই দিঘার জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে জগন্নাথ ভক্তদের ভিড় হচ্ছে এই সৈকত শহরে। বেড়েছে পর্যটকদের ভিড়। তার মাঝেই এবার দিঘার বাস পরিষেবা নিয়ে বড় বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। দুর্ঘটনা এড়াতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছে পরিবহণ দফতর।
বেসরকারি বাসগুলির জন্যই এই নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে পরিবহণ দফতর। কী রয়েছে সেই নির্দেশিকায়?
> নির্দিষ্ট সময়েই বাস ছাড়তে হবে। যে সময়ের মধ্যে দূরপাল্লার বাস পর্যটকদের নিয়ে দিঘায় ঢোকার কথা, তার চেয়ে লেট করা যাবে না।
> যেখানে-সেখানে দাঁড়াবে না দিঘাগামী বাস। যাত্রীদের নির্দিষ্ট স্থানেই নামাতে হবে।
> একই সময় ৫-৬ টি বাস একসঙ্গে দিঘায় যাত্রী নিয়ে ঢুকছে। এতে বিপদের ঝুঁকি থাকছে। হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে। এই ধরনের বিষয়গুলো এড়াতে হবে।
> বাসগুলি দীর্ঘক্ষণ বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। যাত্রী তুলেই ছাড়তে হবে সময় মেনে। বাস মালিকরা যদি সময় মেনে বাস না চালায় তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
> যদি কোনও সময় কোনও পরিস্থিতির কারণে বাসগুলির রুট বদল হয়, তাহলে তা আগাম জানাতে হবে।
> এক মাস বা কয়েক সপ্তাহ অন্তর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও আলোচনা হবে। বাসগুলি সঠিকভাবে নির্দেশ মানছে কি না তা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের নজরদারি করবে।
কলকাতা থেকে দিঘায় বাসে চেপে যেতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। ধর্মতলা বাস ডিপো থেকে প্রতিদিনই দিঘাগামী বাস চলে। সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় পরিষেবা। সরকারি এবং বেসরকারি দুই ধরনের বাস যায় দিঘায়। ধর্মতলার পাশাপাশি গড়িয়া, দমদম, খড়গপুর, দুর্গাপুর, আসানসোল, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর থেকেও দিঘাগামী বাস মেলে। সরকারি এসি বাসের ভাড়া ১৪৫-১৫০ টাকা। বেসরকারি এসি বাসের ভাড়া ৫০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত। যাঁরা বাসে করে আসবেন তাঁদের নন্দকুমার-দিঘা ১১৬ বি জাতীয় সড়ক ধরে এসে মন্দিরে যেতে হবে। ওল্ড দিঘা গেটে নেমে হেঁটে ৩ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছনো যাবে মন্দিরে। আবার নিই দিঘা বাস ডিপোতে নামলে সেখান থেকে হেঁটে শনি মন্দিরের সামনে দিয়ে ২ কিলোমিটার গেলেই দেখা মিলবে জগন্নাথদেবের।