পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি নিয়ে সুর বদল BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। এতদিন তিনি বলছিলেন পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবিকে সমর্থন করে না গেরুয়া শিবির। তবে শনিবার জলপাইগুড়িতে জন বার্লাকে পাশে বসিয়ে দাবিকে কার্যত মান্যতা দিলেন দিলীপ। বললেন, 'এখানকার মানুষ যদি পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি করে থাকে, তাহলে তা অনায্য নয়।'
একুশের নির্বাচনের পর থেকে পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি তুলে আসছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। আবার আর এক সাংসদ সৌমিত্র খাঁও জঙ্গলমহলকে আলাদা রাজ্যের দাবি তুলেছিলেন। ২ সাংসদের দাবি নিয়ে এর আগে দিলীপ ঘোষ সাফ জানিয়েছিলেন, রাজ্যকে ভাগ করার পক্ষে তাঁরা নন। একাধিকবার এই কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে এদিন সুর বদল করেন।
আরও পড়ুন : হাতে নিলেই টাকা দ্বিগুণ কর দিচ্ছে জয়নগরের ৪ যুবক! তারপর যা হল
জলপাইগুড়িতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লাকে পাশে বসিয়ে দিলীপ বলেন, 'আমি আগেই বলেছি, আজ যদি উত্তরবঙ্গ বা জঙ্গলমহল আলাদা রাজ্য হতে চায়, তাহলে তার দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর পরও কেন উত্তরবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত? কেন তাঁদের কাজ, চিকিৎসার জন্য অন্য রাজ্যে যেতে হবে? কেন স্কুল নেই, কর্মসংস্থান নেই, কেন উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের মানুষকে অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজের খোঁজ করতে হবে? তাই উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলকে আলাদা রাজ্য করার দাবি যদি উঠে থাকে, তাহলে তা অনায্য নয়। আর জন বার্লা একজন জন প্রতিনিধি। তাঁকে মানুষের কথা শুনতে হয়। আর গোর্খাল্যান্ডের দাবিও অনেকদিনের। দিদিমনি তো তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে সরকার চালিয়েছিলেন। তখন এই প্রশ্ন ওঠেনি কেন ? তখন ঠিক ছিল। আর আজ আমরা দাবি করছি বলে বিচ্ছিন্নতাবাদী হয়ে গেলাম?'
আরও পড়ুন : PHOTOS: জুভেন্তাসেই থাকছেন তো? রোনাল্ডোকে নিয়ে খোলসা কোচ আলেগ্রির
এদিকে দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। তাদের তরফে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'BJP এখন রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। ওরা আগুন নিয়ে খেলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গলমহলরে অনেক উন্নতি হয়েছে। সবাই সেই কথা জানে। তারপরও ওরা বাংলাকে ভাগ করার চেষ্টা করছে।'