ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে চলতে থাকা বিক্ষোভ এবং হিংসা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে ঘটে চলা হিংসা সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে ঠেকাচ্ছে না, বরং “মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।” এর দায় তিনি সরাসরি চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর।
গত শুক্রবার থেকে মুর্শিদাবাদ, ভাঙড়, সুতি, শমশেরগঞ্জ, ধুলিয়ানের মতো এলাকায় লাগাতার হিংসা চলছে। পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, সাধারণ মানুষের বাড়িঘরে হামলা, দোকানপাট ভাঙচুর, এমনকি বিএসএফ-এর উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। দিলীপ ঘোষের দাবি, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষ এই তাণ্ডব চালালেও প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
তিনি অভিযোগ করেন, “রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দুদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এটা তাঁদের নীতি।” দিলীপ ঘোষ এও বলেন যে, “মুখ্যমন্ত্রী শুধু দর্শকের ভূমিকায় রয়েছেন, কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার।”
বিজেপি নেতার আরও বক্তব্য, ভাঙড়ে হিংসা নতুন নয়। আগেও পাওয়ার গ্রিড আন্দোলন থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে একাধিকবার সন্ত্রাস ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, অথচ বারবার প্রশাসন নীরব থেকেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “সারা ভারতজুড়ে কোথাও ওয়াকফ নিয়ে এই ধরনের বিক্ষোভ হচ্ছে না। তাহলে কি বাংলায় যা হচ্ছে, তা মুখ্যমন্ত্রীর অঙ্গুলিহেলনে হচ্ছে?”
সম্প্রীতির নামে ‘একতরফা সহিষ্ণুতা’ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সম্প্রীতি বজায় রাখতে রাখতে হিন্দুদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যাচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হিন্দুরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। রাজ্যে হিন্দু শূন্যতার দিকে এগোচ্ছে।”