বুধবারই রাজ্যের মুকুটে জুড়েছে ইউনেস্কো হেরিটেজের (UNESCO Heritage) নতুন পালক। বাংলার দুর্গাপুজো (Durga Puja) জুড়েছে হেরিটেজের তালিকায়। এই নিয়ে খুশির আমেজ বাংলা জুড়ে। রাজনৈতিক মহলেও খুশির হওয়া। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় অনেক দিন ধরেই দাবি করছিলেন দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর তালিকায় তুলতে। অবশেষে মিলল সাফল্য। তবে তৃণমূলের এই খুশির আমেজের মাঝে পাল্টা আক্রমণ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)।
বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর দাবি, "তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজা শুরু করেনি। তাদের এমন ভাব যেন বিমানবন্দর, হাওড়া ব্রিজ সব তারা তৈরি করেছে, ভারতের স্বাধীনতা এনেছে। দুর্গাপুজো করতে অনুমতির জন্য আদালতে কেন যেতে হবে?" পাশাপাশি এও দাবি করেন, ''কতটা দুর্ভাগ্যজনক যে, তারা তাদের রাজনৈতিক ও নির্বাচনী উদ্দেশ্যে বিশ্ব পরিচিত ঐতিহ্যকে দূষিত করছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের দিন। তৃণমূলের উচিত এই গর্বকে কলুষিত না করে গরিমা বজায় রাখুক।"
এদিন, কলকাতা পুলিশের ভূমিকা, রাজ্যের আইন-প্রশাসন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দিলীপ ঘোষ। এদিকে, বুধবার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কলকাতায় মহিলারা সবথেকে সুরক্ষিত বলে দাবি করেন। তাঁর বিরোধিতা করে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, "কলকাতা পুলিশের কাছে নিরাপদ নন মহিলারা। আমরা জানি পুলিশ মেয়েটিকে শ্লীলতাহানি করেছে। গায়ের জোরে বললে হবে না। সাধারণ মানুষ মনে করলে তখন হবে। তৃণমূল বেশি বাড়িয়ে বলছে।" আরও পড়ুন, বাংলা-বাঙালির দুর্গাপুজো UNESCO-র হেরিটেজ তালিকায়, উচ্ছ্বাস
বর্ধমানে একটি বাস থেকে বোমা উদ্ধারের প্রসঙ্গ তাঁর দাবি, গ্রামে গ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে বোমা উদ্ধার করা হচ্ছে। আমি মনে করি এটি এখন একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে, আইনশৃঙ্খলার বর্তমান অবস্থা এবং অসামাজিকরা কতটা আতঙ্কমুক্ত হয়ে উঠেছে।