'বিয়ের ফুল ফুটলে, বাজবে বিয়ের বাজনা'। ফুল ফুটল, বাজল বিয়ের বাজনাও। বঙ্গ রাজনীতির মহলে হঠাৎই সানাইয়ের সুর। বৈশাখের বাংলায় ছাঁদনাতলায় পা রাখতে চলেছেন দিলীপ ঘোষ। বিয়ে করছেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম সফল রাজ্য সভাপতি। সূত্রের খবর, সম্ভবত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউটাউনে নিজের বাড়িতেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন রাজ্য রাজনীতির দাপুটে নেতা দিলীপ। পাত্রী বিজেপিরই এক কর্মী। ষাটোর্ধ্ব বিজেপি নেতা দিলীপের বিয়ে ঘিরে তোলপাড় বাংলার রাজনীতি। শুধু বিজেপি নেতারা নন, দিলীপকে নতুন জীবনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতারাও।
কে পাত্রী?
পাত্রীর নাম রিঙ্কু মজুমদার। তিনিও দীর্ঘ দিনের বিজেপি কর্মী। মহিলার মোর্চার দায়িত্বও সামলেছেন। ওবিসি মোর্চা এবং হ্যান্ডলুম সেলের দায়িত্বেও ছিলেন। বিজেপি করার সূত্রেই ৪৭ বছর বয়সী রিঙ্কুর সঙ্গে আলাপ হয় ৬১ বছরের দিলীপের। সেই আলাপই শুক্রবার সন্ধ্যায় পরিণতি পেতে চলেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিয়ের খবর এবং দিলীপের সঙ্গে তাঁর পরিণয়ের সত্যতা অকপটে স্বীকার করেছেন স্বয়ং রিঙ্কু। তবে এখনও মুখ খোলেননি দিলীপ। জানা গিয়েছে, রিঙ্কু বিবাহবিচ্ছিন্না। তাঁর ২৫ বছর বয়সী এক পুত্রও রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে নিউটাউনের বাসিন্দা রিঙ্কু। তাঁর পুত্র আইটি সেক্টরে কাজ করেন।
আজই বিয়ে
সব ঠিক থাকলে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউটাউনে দিলীপের বাড়িতেই বসছে বিয়ের আসর। আইনি বিয়ে সম্পন্ন করা হবে। একান্তই ব্যক্তিগত স্তরে হতে চলেছে এই বিয়ে। পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতেই চার হাত এক হবে।
দিলীপ-রিঙ্কুর কীভাবে প্রেম?
শোনা গিয়েছে, ২০২১ সালে দিলীপের সঙ্গে আলাপ রিঙ্কুর। ইকো পার্কে প্রাতর্ভ্রমণের সময়ই তাঁদের আলাপ হয়। সেই আলাপই ধীরে ধীরে সম্পর্কে গড়ায়। যদিও তা কাকপক্ষীতেও কেউ টের পাননি। দিলীপের ঘনিষ্ঠ মহলের একাংশে মতে, লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর খানিকটা মুষড়ে পড়েছিলেন পোড়খাওয়া রাজনীতিক দিলীপ। সেই সময়ই রিঙ্কুই দিলীপকে সংসার শুরু করার প্রস্তাব দেন। তবে রিঙ্কুর প্রস্তাবে প্রথমে রাজিই হননি দিলীপ। বিয়ে করতে প্রথমে অস্বীকারই করেছিলেন দিলীপ। দিলীপের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মা চেয়েছিলেন তিনি বিয়ে করে সংসার শুরু করুক। তাঁর অনুপস্থিতিতে ছেলের দেখাশোনা কে করবে, তা নিয়েও চিন্তায় ছিলেন দিলীপের মা। শেষমেশ, একপ্রকার মায়ের জোরাজুরিতেই বিয়েতে রাজি হন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ।
এ-ও জানা গিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল ইডেন গার্ডেন্সে কেকেআরের ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন দিলীপ ও রিঙ্কু। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রিঙ্কুর পুত্রও। শোনা গিয়েছে, ইডেনেই নাকি বিয়ে নিয়ে পাকা কথা হয় তাঁদের।
শুভেচ্ছার ঢল
দিলীপের বিয়ের খবর চাউর হতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি দিলীপকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতারাও। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অন্য দিকে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, 'দিলীপ ঘোষকে ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা। এর মধ্যে রাজনীতি খুঁজবেন না।' শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য।