ধুলিয়নায় বাবা ও ছেলের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রবিবার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানা এলাকা থেকে উদ্ধার হয় দু'জনের মৃতদেহ। সিপিএম দাবি করেছে, নিহতরা তাদের সমর্থক। কিন্তু এই দাবি ঘিরে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
সোমবার সকালে নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে দিলীপ বলেন, “সিপিএম আজ মানুষ ঝাড়ু মেরে সরিয়ে দিয়েছে। ধুলিয়ানায় যাঁরা নিহত, তাঁরা হিন্দু। কিন্তু সিপিএম সেই কথা বলছে না, শুধু নিজেদের সমর্থক বলছে। এরা চিরকাল মানুষকে বোকা বানিয়েছে। দেশভাগের সময়েও কমিউনিস্টরা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, আর আজও মুসলিম ভোটের জন্য ওদের পক্ষ নিচ্ছে।”
তাঁর অভিযোগ, “মানুষ সিপিএমকে অনেক আগেই তালাক দিয়েছে, তবুও ওরা নিজেদের পার্টির সদস্য বলছে! পার্টি থাকলে তবেই তো সদস্য থাকবে? হিন্দুদের এখনই ভাবা উচিত, এমন দেশদ্রোহী পার্টিকে আর সাপোর্ট করা উচিত কিনা।”
এর পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে দিলীপ বলেন, “আরজিকর হাসপাতাল থেকে শিক্ষক নিয়োগ, সবকিছু এই সিপিএমই ঘেঁটেছে। এখন যখন সত্যি বেরিয়ে আসছে, তখন চুপ করে বসে নেই, আবার নাটক করছে। দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য এদের চিনে রাখা জরুরি।”
এই মন্তব্যের মাধ্যমে দিলীপ ঘোষ একদিকে যেমন মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করলেন, তেমনই বামেদের অতীত এবং বর্তমান ভূমিকাকেও তীব্রভাবে আক্রমণ করলেন। তাঁর কথায় স্পষ্ট, বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক লড়াই।
তৃণমূলের পাশাপাশি এবার বামেদেরও নিশানা করলেন তিনি। মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক হিংসাত্মক ঘটনার প্রেক্ষিতে সিপিএমের ভূমিকাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন দিলীপ। তাঁর কটাক্ষ, "হিন্দু মারা গেছে, আর সেখানে ঢুকে সিপিএম বলছে তাদের সমর্থক। লোককে এভাবেই বোকা বানিয়েছে এরা। দেশভাগে যেমন ওরা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, এখনও মুসলিম ভোটের জন্য মদত দিচ্ছে।"
বামেদের উদ্দেশে দিলীপের স্পষ্ট বার্তা, "আজ সিপিএমের পার্টি-ই নেই, সদস্য কী করে থাকবে? হিন্দুদের ভাবা উচিত, এখনও এই পার্টিকে সাপোর্ট করবে কিনা।"
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে হিন্দু ভোট ব্যাংককে একজোট করতে কোমর বেঁধেছে বিজেপি। রামনবমীর কর্মসূচিতে তার ইঙ্গিতও মিলেছে। সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই বামেদের দিকে আঙুল তুলছেন দিলীপ ঘোষ।