বৃহস্পতিবার বিধানসভার বুলেটিনে প্রকাশিত হয়েছে যে শাসক শিবির ১৮৫ নম্বর ধারায় একটি নিন্দা প্রস্তাব এনেছে, যা বাংলা ভাগের চেষ্টার বিরুদ্ধে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রাজ্যের সকল শ্রেণির ঐক্য, সংহতি, শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গকে অটুট রাখার জন্য জনগণের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
প্রস্তাবে নাম না করে উল্লেখ করা হয়েছে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এবং নিশিকান্ত দুবের মন্তব্য। সুকান্ত মজুমদার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে উত্তরবঙ্গের ৮টি জেলা উত্তর-পূর্বের সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে উন্নয়নের সুবিধা পাওয়া যায়। নিশিকান্ত দুবে লোকসভায় দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলা এবং বিহারের কিছু অংশ নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হোক।
শাসক শিবিরের মতে, বিজেপি নেতারা বিভাজনের পক্ষে সওয়াল করছেন এবং রাজ্য ভাগের চক্রান্ত করছেন। আগামী সোমবার বিধানসভায় এই নিন্দা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। বিষয়টিতে এদিন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বিধানসভায় বলেন, 'আমি শুনলাম বিধানসভাতে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রচার করা হচ্ছে বিজেপি বঙ্গভঙ্গ করতে চায়। কিন্তু আমি জানিনা বিজেপি কোথায় এই প্রস্তাব নিয়েছে। কোথায় প্রতিশ্রতি নিয়েছে। আমরা পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ করতে চাই, কোথায় বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের জন্ম দিয়েছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। পশ্চিমবঙ্গের প্রতি আমাদের ভালোবাসা কম নেই। যারা বিভাজনের রাজনীতি করে ভোট নিতে চান তাদের থেকে সাবধান থাকা উচিত।'
বিষয়টিতে সুকান্ত মজুমদারের হয়েই সওয়াল করেন দিলীপ। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সমস্যা নিয়ে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। দিলীপ বলেন, 'তাঁরাই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর করেছেন। আলাদা মন্ত্রী করেছেন। খালি উত্তরবঙ্গকে বোকা বানাচ্ছেন। আমাদের রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তিনি একটি উন্নয়নের একটা মডেল বা যোজনা দিয়েছেন। কারণ তিনি উত্তরবঙ্গের মানুষ। উত্তরবঙ্গের মানুষের কিছু আশা রয়েছে। এধরণের বহু মডেল রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জন্য কাজ কিছু হয়না, বোকা বানানো হয়। তাঁরা তৃণমূলকে কোনওদিন ভোট দেয়নি। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের কথা বললেই হাহাকার শুরু হয়ে যায়। বিজেপি কোনও ভাগের প্রস্তাব নেয়নি।'