রাজ্যে এক ধাক্কায় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ল অনেকটাই। গোটা রাজ্যে প্রায় পাঁচশোর বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রিপোর্ট করা হয়েছে। গত ৬ দিনে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার রিপোর্ট মিলিয়ে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। এই রোগ পুজোর আগে সমস্যায় ফেলতে পারে বলে এবার প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তিনি বার্তা পাঠিয়েছেন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য।
নবান্ন সূত্রে খবর, সরকারি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ১১ অগাস্ট থেকে ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মোট ৫৩৫ জন রোগী ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। পরবর্তী দুদিনের হিসেব ধরা হয়নি। সংখ্যাটা আরও অন্তত শতাধিক বেড়েছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর। শুধু আক্রান্তই নয়, একাধিক ডেঙ্গি রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ডেঙ্গির প্রকোপ যেভাবে বাড়ছে, তাতে পুজোর সময় তাতে প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে বাধ্য।
বিশেষ করে দুর্গাপুজোয় কলকাতায় যাতে পরিস্থিতি নিম্নমুখী না হয়, তার জন্য একই সঙ্গে লালবাজারের তরফেও কলকাতার সমস্ত থানাকে ডেঙ্গি নিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পুরসভার সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে পুলিশকে বলে জানানো হয়েছে। দরকার হলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে ডেঙ্গি রোধের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রচার ও সচেতনতার উপর জোর দিতে বলা হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের সমস্ত পুরসভা, পঞ্চায়েতকে। জেলা স্তর থেকে তা করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
রাজ্যে এখন বৃষ্টির মরশুম রয়েছে। ফলে বৃষ্টি হয়ে চলেছে। ফলে জল জমার সমস্যা রয়েছে। নিকাশি সব জায়গায় সমান নয়। জমা জলে ডিম পাড়ে ডেঙ্গুর মশা। ফলে প্রতি বছরই বর্ষার আগে পরে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দেয় বাংলায়। পুজো পর্যন্ত যার প্রকোপ চলে। পাশাপাশি অন্যান্য ভাইরাল রোগও যাতে না হয় তা নিয়ে চিন্তা ব্যক্ত করেছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার নবান্নতে বৈঠক হয়। সেখান থেকেই জেলা প্রশাসন এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যসচিব। ডেঙ্গি যে চিন্তা বাড়াচ্ছে, সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক হতে বলেন তিনি। বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ির মতো জেলাগুলিকে।