হাসপাতালের করিডরে পড়ে দেহ। আর সেই মৃতদেহ খুবলে খাচ্ছে কুকুর। এমন কাণ্ডই ঘটেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে মৃতদেহ কীভাবে কুকুর খুবলে গেল, তা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতালে কুকুরের আতঙ্কে ভুগছেন অনেকে।
জানা গিয়েছে, এদিন সাফাই কর্মীরা প্রথমে ক্ষতবিক্ষত দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরেই তাঁরা খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ আউট পোস্টের পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হাসপাতালে কুকুরের আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ডক্টর সঞ্জয় মল্লিক। তিনি জানিয়েছেন, এখানে যাঁরা পিজিটি আছে নাইট ডিউটি করেন, তাঁরা যেতে পারেন না কুকুরের ভয়ে। অনেক ফ্যাকাল্টিকে কুকুর কামড়েছে। এই কুকুর নিয়ে আমরা অনেক জায়গায় মিটিং করেছি। এমনকী, ডেপুটি ডিরেক্টর অ্যানিমেল রিসোর্স চাইল্ড ডিপার্টমেন্টকে জানিয়েছি। কিন্তু কুকুর নিয়ে কোন সুরাহা হয়নি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, হাসাপাতাল চত্বরে প্রায় ১৫০টি কুকুর রয়েছ। যে মৃতদেহটি কুকুর খুবলে খেয়েছে, সেই মৃতদেহ হাসপাতালের কোনও রোগীর নয়। কোথা থেকে মৃতদেহটি হাসপাতালে এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দেহটির ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনার জেরে হাসপাতাল চত্বরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।