Advertisement

'ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকে হবে দুয়ারে ত্রাণের ক্যাম্প', জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতিরও একটা হিসেব তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্যোগে ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে ২.২১ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল এবং ৭১,৫৬০ জমির উদ্যানপালন নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেন জানান মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Aajtak Bangla
  • নবান্ন,
  • 31 May 2021,
  • अपडेटेड 5:28 PM IST
  • দুয়ারে ত্রাণ শিবিরের আবেদন করতে হবে এসডিও-বিডিও অফিসে
  • শিবির আয়োজিত হবে স্কুল-কলেজের মতো ভবনে
  • জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'যশ (Cyclone Yaas), টর্নেডো ও জল ঢুকে যে সমস্ত ব্লক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে 'দুয়ারে ত্রাণের' ক্যাম্প হবে। নিজে হাতে আবেদন করতে হবে। এসডিও ও বিডিও অফিসে জমা দিতে হবে দুয়ারে ত্রাণের আবেদন।' জেলাশাসক (DM) ও পুলিশ সুপারদের (SP) সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে সাফ নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার এই বৈঠকে মমতা আরও বলেন, কোনও গ্রাম সভা বা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পুরসভায় এই ত্রাণ শিবির করা যাবে না। ত্রাণ শিবির করতে হবে স্কুল, কলেজের মতো ব্লিডিং-এ। এক্ষেত্রে সেই স্থান নির্বাচন করবেন জেলাশাসক। 

এদিনের বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতিরও একটা হিসেব তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্যোগে ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে ২.২১ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল এবং ৭১,৫৬০ জমির উদ্যানপালন নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেন জানান মমতা। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২০০ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে, যেখানে কমবেশি ২ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। পাশাপাশি পিএইচই-র তরফে গ্রামে গ্রামে প্রায় ২৮০টি পাইপ ওয়াটার স্কিম এবং ৪৫ লক্ষ পাউচ সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

গোসাবা (Gosaba) এলাকায় ত্রাণের বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ আসছে বলে এদিনের বৈঠকে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, গোসাবার বিধায়ক বর্তমানে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এলাকায় নেই। কোনও কোনও জায়গায় জল জমে থাকায় ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না, কিন্তু সেই সমস্ত জায়গায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে। প্রয়োজনে নৌকো করে সেই ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে মানুষের যেন কোনওরকম অসুবিধা না হয় সেই দিকটিতে নজর রাখার জন্য সাফ নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।  

অন্যদিকে বৈঠকে দিঘার (Digha) প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিঘায় গ্রামের পর গ্রাম ডুবে রয়েছে, সেখানেও ত্রাণের কাজ খুব ভাল ভাবে করতে হবে। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মৎস্যজীবীদের। তাঁদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি দেখতে হবে। একইসঙ্গে ঝড়ে দিঘায় যে সমস্ত হকারদের দোকান নষ্ট হয়ে গিয়েছে, সেগুলিও পরিকল্পনা মাফিক করার ওপরে জোর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement