Advertisement

চারশো বছরের ইতিহাসে প্রথম! বড়দিনে বন্ধ ব্যান্ডেল চার্চ

দীর্ঘ ৪২২ বছর ধরে হুগলী নদীর পশ্চিমপারে ব্যান্ডেল চার্চ ইতিহাস বহন করে আসছে। প্রত্যেক বছরই বহু পর্যটক ব্যান্ডেল চার্চে আসেন বড়দিনে যিশু এবং মা মেরীর কাছে প্রার্থনা জানাতে। কিন্তু এবছর সেই নিয়মে বদল।

২৫ ডিসেম্বর উপলক্ষে ব্যান্ডেল চার্চে হাজার-হাজার মানুষের সমাগম হয়২৫ ডিসেম্বর উপলক্ষে ব্যান্ডেল চার্চে হাজার-হাজার মানুষের সমাগম হয়
Aajtak Bangla
  • ব্যান্ডেল,
  • 24 Dec 2020,
  • अपडेटेड 6:53 PM IST
  • কোভিডের জেরে বদলে গেল বড়দিনের বড় নিয়ম
  • দীর্ঘ ৪২২ বছর ধরে হুগলী নদীর পশ্চিমপারে ব্যান্ডেল চার্চ ইতিহাস বহন করে আসছে
  • এ বছর সেই নিয়মে বদল

কোভিডের জেরে বদলে গেল বড়দিনের বড় নিয়ম। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ বছরের বড়দিনে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকছে ব্যান্ডেল চার্চ। ১৫৯৯ সালে স্থাপনের পর যা বিরল। দীর্ঘ ৪২২ বছর ধরে হুগলী নদীর পশ্চিমপারে ব্যান্ডেল চার্চ ইতিহাস বহন করে আসছে। প্রত্যেক বছরই বহু পর্যটক ব্যান্ডেল চার্চে আসেন বড়দিনে যিশু এবং মা মেরীর কাছে প্রার্থনা জানাতে। কিন্তু এবছর সেই নিয়মে বদল।

২৫ ডিসেম্বর উপলক্ষে ব্যান্ডেল চার্চে হাজার-হাজার মানুষের সমাগম হয়। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বেশ কয়েকবছর আগে থেকে ২৫ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারী ব্যান্ডেল চার্চের মূল ভবনের গেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। চার্চের সুদৃশ্য মাঠে ঢোকার অনুমতি মিললেও কোভিড আবহে ব্যান্ডেল চার্চের দরজা এবছর বন্ধই থাকছে। 

চার্চের ফাদার ফ্রান্সিস জানান ২৪শে ডিসেম্বর গভীর রাত ১২টায় বড়দিনের ঐতিহ্যময় প্রার্থনাও এবারে সম্পূর্ন বন্ধ থাকবে। যেটুকু হবে পরের দিন অর্থাৎ ২৫শে ডিসেম্বর সকাল ৯টায়। যেই প্রার্থনায় ৫০ জন করে চারবারে সর্বমোট ২০০জন ব্যান্ডেল চার্চের সদস্যরা অংশগ্রহন করতে পারবে। তবে এই প্রথম ভার্চুয়াল প্রার্থনার ব্যবস্থা থাকছে সেখানে।

আরও পড়ুন

ফাদার ফ্রান্সিস বলেন এবারে বড়দিনে মাদার মারিয়া ও যীশুর সামনে সবার প্রথমে বিশ্বে কোভিডে মৃত ব্যাক্তিদের উদ্দেশ্যে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। পাশাপাশি কোভিডে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের সুস্থ কামনা সর্বোপরি মহামারি দূরীকরনের আর্জিও জানানো হবে এভাবেই। এদিকে, চার্চ বন্ধ থাকায় এখানকার ছোটবড় দোকানদারাও মহাসমস্যায় পড়েছেন। বিক্রিবাটাও তলানিতে। একই অবস্থা এখানকার মাঝিদেরও। ব্যান্ডেল চার্চ দেখে বহু দর্শনার্থী গঙ্গাবক্ষে নৌকা সহযোগে হুগলির ইমামবাড়ায় যেতেন। চার্চ বন্ধ থাকায় নৌকা করে ইমামবাড়া যাওয়ার আগ্রহ হারিয়েছেন সাধারন মানুষ।

Read more!
Advertisement
Advertisement