রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, ‘দুর্গাঙ্গন’ নির্মাণের জন্য একটি বিশেষ ট্রাস্ট গঠন করা হবে। ট্রাস্টের সদস্যদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে হিডকো এবং রাজ্যের পর্যটন দফতর যৌথভাবে কাজ করবে। যদিও কোথায় এই ‘দুর্গাঙ্গন’ তৈরি হবে, তা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। মন্ত্রীর কথায়, “সব কিছু চূড়ান্ত করার পর বাজেট নির্ধারণ করা হবে।” প্রশাসনিক মহলের ধারণা, কলকাতা বা তার আশেপাশেই এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা বেশি।
শহিদ দিবসে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “জগন্নাথধামের মতো দুর্গাঙ্গন তৈরি করব, যাতে মানুষ সারা বছর সেখানে আসতে পারেন।” সোমবার সেই প্রসঙ্গ টেনে অরূপ বিশ্বাস বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যা বলেন, তা করেন। অন্যদের মতো প্রতিশ্রুতি দিয়ে থেমে থাকেন না।”
দুর্গা পুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব এবং রাজ্যের অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক পরিচয়। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দুর্গা পুজোকে ঘিরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচারের উদ্যোগ নেন। কলকাতা-সহ জেলার পুজো কার্নিভাল সেই উদ্যোগেরই অংশ, যা ইতিমধ্যে ইউনেস্কোর ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ তালিকায় জায়গা পেয়েছে। অরূপ বিশ্বাস জানান, ইউনেস্কোর স্বীকৃতিকে সম্মান জানিয়েই মুখ্যমন্ত্রী এই ‘দুর্গাঙ্গন’-এর পরিকল্পনা করেছেন।
প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে সারা বছর দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এখানে দুর্গা পুজোর ঐতিহ্য, শিল্প, প্রতিমা নির্মাণ এবং সংস্কৃতিকে স্থায়ী প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে এটি বড় সংযোজন হবে বলেই মনে করছেন প্রশাসন এবং সাংস্কৃতিক মহল।