Advertisement

Durgapur Case: দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের স্ক্যানারে নির্যাতিতার সহপাঠীও, আরও কী জানালেন পুলিশ কমিশনার?

সেদিন রাতে সহপাঠীর সঙ্গেই ক্যাম্পাসের বাইরে খেতে গিয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সেই সহপাঠীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁর বাবা-মা। এবার তাঁকে স্ক্যানারে রাখছে পুলিশও।

স্ক্যানারে সহপাঠীর ভূমিকাস্ক্যানারে সহপাঠীর ভূমিকা
Aajtak Bangla
  • দুর্গাপুর ,
  • 14 Oct 2025,
  • अपडेटेड 7:13 PM IST
  • সহপাঠীর সঙ্গেই ক্যাম্পাসের বাইরে খেতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা
  • সহপাঠীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বাবা-মা
  • তাঁকে স্ক্যানারে রাখছে পুলিশও

প্রথম দিন থেকেই দুর্গাপুর গণধর্ষণ মামলায় দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়ার সহপাঠী পুলিশের স্ক্যানারে। তাঁর সঙ্গেই ক্যাম্পাস থেকে রাত ৮টা নাগাদ বেরিয়েছিলেন নির্যাতিতা। তারপরই ঘটে যায় নৃশংস ঘটনা। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ ছিল, মেয়েকে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন ওই সহপাঠী। এবার পুলিশের মুখেও উঠে এল সহপাঠীর কথা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে আসানসোল-দুর্গাপুরের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী বলেন, 'নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়।'ইতিমধ্যেই তাঁকে নিয়ে এদিন দুপুরে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে পরানগঞ্জের সেই জঙ্গলে যায় পুলিশ। তাঁর বয়ানের সঙ্গে নির্যাতিতার বয়ানও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

বাবা-মায়ের অভিযোগ 
ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের বক্তব্য, সহপাঠীর সঙ্গে অনিচ্ছা সত্ত্বেও খাবার খেতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়েছিলেন নির্যাতিতা। সে সময়েই তাঁর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে।নির্যাতিতার বাবা বলেন, '১০টা নাগাদ মেয়ের এক সহপাঠী আমাদের ফোন করে। জানায়, মেয়ের গণধর্ষণ হয়েছে। আমরা জলেশ্বরে থাকি। মেয়েকে এখানে প়ে পাঠিয়েছিলাম। শুনলাম মেয়েকে খাবার খাওয়াতে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে গিয়েছিল ওর সহপাঠী। যখন দু'তিন মেয়েকে ঘিরে ফেলে তখন সহপাঠী ওকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়। রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে হস্টেল অনেক দূরে।' বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার মাও। তাঁর কথায়, 'মেয়েকে ধর্ষণ করার পর মোবাইলও ছিনিয়ে নিয়েছিল। আর তা ফেরত দেওয়ার জন্য ৩ হাজার টাকা চেয়েছিল। কাউকে কিছু বললে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। মেয়ে তো ক্যাম্পাসের বাইরে যেতেও চায়নি। তাঁকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে এক সহপাঠী নিয়ে যায়।' যারা এই কাজ করেছে তারা মেয়েরই সহপাঠী বলে কার্যত ইঙ্গিত করেছেন তাঁর মা। 

কী বলছে কলেজ কর্তৃপক্ষ?
নির্যাতিতা এবং তাঁর সেই সহপাঠী, দু'জনেই এ বছর MBBS-এর দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থী। জানা যায়, রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে তাঁরা রেজিস্টারে সই করে ক্যাম্পাস থেকে খাবার খেতে বেরিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর ছেলেটি ফিরে আসেন। মেন গেটের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তার ৪-৫ মিনিট পর রাস্তার দিকে হেঁটে যান ছেলেটি এবং মেয়েটিকে সঙ্গে করে নিয়ে ফিরে আসেন ক্যাম্পাসে। সে সময়ে নির্যাতিতা কিংবা তাঁর বন্ধু, কেউই কোনও অভিযোগ করেননি। এমনটাই জানিয়েছেন, দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালের মুখপাত্র সুদর্শনা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, 'যেহেতু দু'জনেই প্রাপ্তবয়স্ক এবং নিজের ইচ্ছেতেই তাঁরা ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিল, সেখানে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি আসে না। ক্যাম্পাসের মেন গেট পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে।' 

Advertisement

নির্যাতিতার বয়ান 
মেডিক্যালসের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী বলেন, 'আমরা দেখলাম গাড়ি রেখে কয়েকজন আমাদের দিকেই এগিয়ে আসছিল। জঙ্গলের দিকে পালাতে চেষ্টা করেছিলাম। ৩ জন আমার দিকে তেড়ে এল। জাপটে ধরে ফেলল আমায়। টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল জঙ্গলের মধ্যে। ফোন ছিনিয়ে নিয়ে আমার বন্ধুকে ফোন করে। ও ফোন ধরেনি। তারপর আমায় জঙ্গলের আরও ভিতরে নিয়ে যায়।' নির্যাতিতা জানান তাঁকে একজন ব্যক্তি ধর্ষণ করছে। পুলিশ এ বিষয়ে বিশদে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছে। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement