ড্যামের জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। তাই মাইথন (Maithon), পাঞ্চেত (Panchet) ড্যাম জল ছাড়ল ৩৮ হাজার কিউসেক। আতঙ্ক বাড়ছে মানুষের মনে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা জলের তলায় চলে যেতে পারে। এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার বিকেলের পর থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি (Damodar Valley Corporation বা DVC)। মাইথন (Maithon) ড্যামে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যের কাছে বিশেষ অনুমতি নিয়ে ও সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনকে জানিয়ে। এরপর ২৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া শুরু হল মাইথন (Maithon) ড্যাম থেকে।
গত ২৪ ঘন্টায় তিনটি লকগেট খুলে মাইথন (Maithon) থেকে জল ছাড়া হচ্ছিল সাড়ে ৮ হাজার কিউসেক। শনিবার বিকেলের পর থেকে ডিভিসি (DVC)-র তরফ থেকে পাঁচটি লকগেট খুলে জল ছাড়া শুরু হয়। শুক্রবার ২০৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে মাইথন (Maithon)-এ।
ডিভিসি (DVC) কর্তৃপক্ষের দাবি, গত দশ বছরের এতটা বৃষ্টি হয়নি এই এলাকায়। শনিবারও টানা বৃষ্টিপাত শুরু হয় মাইথনে। জানা গিয়েছে, মাইথন (Maithon) ড্যামে বৃষ্টির জন্য ও অন্য শাখা নদী থেকে জল ঢুকেছে ৬১ হাজার কিউসেক। তবে সেই অনুপাতে ডিভিসি মাইথন (Maithon) কম পরিমাণেই জল ছাড়ছিল।
কিন্তু জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতেই জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, পাঞ্চেত (Panchet)-এও জল ছাড়া হয়েছে ১৪ হাজার কিউসেক। সেখানেও বৃষ্টির জন্য বা অন্য শাখার নদীর জল ঢুকেছে ৩৪ হাজার কিউসেক। সেক্ষেত্রে ডিভিসি (DVC)-র দুটো ড্যামেই জল বাড়ছিল হু হু করে।
আরও জানা গিয়েছে, রাজ্য থেকে দুটি ড্যাম মিলে মোট ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই মত দুটি ড্যাম মিলে শনিবার বিকেলের পর থেকে ৩৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়া শুরু হয়।
নদী উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর ফলে দামোদরের নিম্ন উপত্যকা পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হল।
১১ জুন রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করেছে। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর এর জেরে সমস্যা বাড়ছে। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে জল জমেছিল। তবে কোথাও কোথাও এখনও জল জমে রয়েছে। আর এর জেরে চরম নাকাল হচ্ছেন মানুষজন।