
ভরতপুর-১ ব্লকের এক হাজারের বেশি টোটো চালক এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছেন। কারণ, জিএসটি সংযুক্ত পাকা রসিদ না থাকায় তাঁদের টোটো রেজিস্ট্রেশনের জন্য খরচ বেড়ে প্রায় ১৭ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। যাদের সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলে রেজিস্ট্রেশন খরচ মাত্র ১৬৫০ টাকা হয়।
সম্প্রতি ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে টোটো রেজিস্ট্রেশন শিবির শুরু হয়েছে। প্রতিদিন একটি করে পঞ্চায়েতে শিবির চালানো হচ্ছে। ভরতপুর-১ বিডিও দাওয়া শেরপা সংবাদমাধ্যমকে জানান, 'শিবিরে আরটিও অফিসের আধিকারিকরা এসে রেজিস্ট্রেশন করছেন। সমস্ত কাগজপত্র ঠিক থাকলে খরচ ১৬৫০ টাকা, কিন্তু কাগজপত্র অসম্পূর্ণ হলে খরচ বাড়তে পারে।'
অনেক চালক এই পরিস্থিতিতে হতাশ। অনেকে বললেন, দিন শেষে তাঁদের রোজগার মাত্র ২০০ টাকা। এই অবস্থায় ১৭ হাজার টাকা দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিছু চালক ১৬৫০ টাকায় রেজিস্ট্রেশন করতে পারছে, আবার কারও খরচ বেশি। এমন নিয়ম বোঝা কঠিন।
প্রশাসনের মতে, সমস্যার মূল কারণ হলো কাঁচা রসিদে টোটো কেনা। হাতে লেখা কাঁচা রসিদে কেনা টোটোর ক্ষেত্রে জিএসটি দেওয়া হয়নি, তাই এখন রেজিস্ট্রেশনের জন্য জিএসটি দিতে হবে। এজন্য কিছু চালকের খরচ ১৭ হাজার বা তারও বেশি হতে পারে।
জানা গেছে, কেউ ঋণ নিয়ে টোটো কিনেছেন, কেউ আবার স্ত্রীর গয়না বিক্রি করেছেন। এত টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে গেলে চালকদের সমস্যা বাড়ছে। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন চালকরা।