
অফিস টাইমে কেঁপে উঠল শহর কলকাতা সহ একাধিক জেলা। শুক্রবার সকালে রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৭। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ঢাকার নরসিংদী। রাজ্যে সকাল ১০টা ০৮ মিনিট নাগাদ কম্পন শুরু হয়। মিনিট দুয়েক চলে কম্পন। অফিস ও বহুতলগুলি থেকে আতঙ্কে মানুষ বেরিয়ে বাইরে চলে আসে। বাংলাদেশ ছাড়া ত্রিপুরাতেও কম্পন অনুভূত হয়।
রাজ্যে কলকাতা ছাড়া আর কোন কোন জেলায় কম্পন অনুভূত হয়েছে?
কোথায় কোথায় কম্পন অনুভূত হয়েছে?
রাজ্যজুড়ে সর্বত্র কম্পন অনুভূত হয়েছে। আইএমডি জানিয়েছে, উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, সল্টলেক, রাজারহাট ছাড়া অন্য জেলাগুলি মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ একাধিক জেলা কেঁপে ওঠে। উত্তরবঙ্গে সবচেয়ে বেশই কম্পন অনূভূত হয়।
অফিস টাইমে কম্পন অনুভূত হওয়ায় কর্মীরা বহুতল থেকে নীচে নেমে আসেন। সল্টলেক, রাজারহাটের দিকে এই ছবি ধরা পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্টে দেখা যায় ঘরের সিলিং ফ্যান, ঝাড় বাতি দুলতে। খাটে যারা শুইয়েছিলেন তারাও ভালোমতো কম্পন অনুভব করেছেন।
বড় মাত্রায় ভূমিকম্প হলে কী অবস্থা হবে কলকাতা সহ সংলগ্ন এলাকার?
কলকাতায় সচরাচর বড় মাত্রায় ভূমিকম্প হয় না। কলকাতা ভূমিকম্প প্রবণ শহর নয়। কলকাতার মাটির তলা কাদামাটি। তবে অশনি সঙ্কেত রয়েছে কলকাতার পার্শ্ববর্তী রাজারহাট ও সল্টলেকে। এই দুই এলাকা ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কলকাতার মধ্যে পার্কস্ট্রিট, ধর্মতলার মতো এলাকাতেও ক্ষতি হতে পারে। দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর, সন্তোষপুরও ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ধসে জেতে পারে বাড়িঘর।
শুধু কলকাতাই নয়, হাওড়া ও কলকাতার নানা প্রান্তে ভিআইপি রোডের বিভিন্ন অংশেও মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। অনেক বহুতল, ঘরবাড়ি ভেঙে ধূলিস্যাৎ হতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।