আবারও আবাস যোজনায় 'কাটমানি'র অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার অন্তর্গত দেবীপুর পঞ্চায়েতের সীতারাম বাটি এলাকার ঘটনা। দশ হাজার টাকা না দেওয়ায় ঘর তৈরির কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক কুমার সরকারের বিরুদ্ধে।
দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আবাস যোজনার তালিকায় নাম ওঠে স্থানীয় ফুলন বিবির পরিবারের। প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর শুরু হয় ঘর তৈরির কাজ। অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান নিজে এসে দেখেও যান যে কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তারপরই তিনি দশ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় বিভিন্ন কৌশলে বন্ধ করে দেওয়া হয় নির্মাণ কাজ, এমনটাই দাবি অভিযোগকারিণীর।
ফুলন বিবির আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান তাঁকে স্পষ্টভাবে বলেন যেন কাউকে কিছু না জানানো হয়। এমনকি কাউকে জানালে ‘দেখে নেবেন’ বলেও হুমকি দেন তিনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
যদিও স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ফুলন বিবির পরিবার ঘরের পাশে রাস্তার জন্য জায়গা না রেখেই নির্মাণের কাজ করছিল। তাই বাধা দেওয়া হয়েছে। পাল্টা ফুলন বিবির প্রশ্ন, 'যদি রাস্তার জন্য সমস্যা থাকত, তাহলে শুরুতেই কেন জানানো হয়নি? ঘর তৈরির কাজ শুরু হওয়ার পর কেন বাধা?'
এ বিষয়ে দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক কুমার সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে, মেমারীর বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি সত্যিই প্রধান কাটমানি চেয়ে থাকেন, তাহলে প্রশাসন ও দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’
এর আগে দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এক হাজার টাকা করে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার দেবীপুরে সেই পরিমাণ এক লাফে দশ হাজার টাকায় পৌঁছেছে! এই ঘটনা আবাস যোজনা প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, সেদিকে তাকিয়ে এলাকাবাসী।
সংবাদদাতাঃ সুজাতা মেহেরা