রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে তৃণমূলের আরও এক নেতাকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ওই তৃণমূল নেতা জড়িত বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। ধৃত আনিসুর রহমান উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ব্লক সভাপতি। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ভাইকেও। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হবে।
ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের 'ঘনিষ্ঠ' বলে পরিচিত আনিসুর। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। বর্তমানে তিনি জেলবন্দি। অন্য দিকে, চালকলের মালিক বারিক বিশ্বাসকেও তলব করেছে ইডি। বারিকও জ্যোতিপ্রিয়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। গত মঙ্গলবার বারিকের বাড়ি এবং চালকলে তল্লাশি চালিয়ে ৪০ লক্ষেরও বেশি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। উদ্ধার করা হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে সম্পত্তির নথিও।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে কিছু দিন আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এর আগে, এই মামলার তদন্তে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। যে ঘটনা ঘিরে সরগরম হয় রাজনীতির ময়দান। ঘটনার ৫৫ দিন পর গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানকে। এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর থেকেই সিবিআইয়ের হাতে শাহজাহান। গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান ঘিরে গোলমালের ঘটনার পর থেকেই তেতে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার ওই এলাকা। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। জোর করে জমি দখল, মহিলাদের উপর অত্যাচার, যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয় উত্তম, বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকে। পরে জামিন পান বিকাশ। গ্রেফতার করা হয় শিবপ্রসাদকেও। গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকেও।