তৃণমূলের শহিদ দিবস একুশে জুলাই রবিবার, কালই। তার আগে আজ, শনিবার দুপুর থেকেই বাস শূন্য হতে চলেছে শহর কলকাতা। ইতিমধ্যে শহরের ক্যাম্পগুলিতে ভিড় জমিয়েছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। শিবিরগুলিতে ডিম-ভাত, ডাল, তরকারি সহ প্রচুর আয়োজন। ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে এখনও চলছে সভামঞ্চ তৈরির কাজ। শনিবার বিকেল থেকে তুলে নেওয়া হবে বাস। কোন কোন রুটে? দেখুন।
বরানগর, বি টি রোড, দমদম, নাগেরবাজার, সল্টলেক, নিউ টাউন লাগোয়া সাপুরজি বাসস্ট্যান্ড, গড়িয়া, টালিগঞ্জ, পাটুলি, বেহালা, নিউ আলিপুর সহ বিভিন্ন রুটের প্রায় সব বাসই তুলে নেওয়া হচ্ছে। মিনিবাসগুলিও তুলে নেওয়া হচ্ছে আজ থেকে।বেহালা, নাকতলা, গড়িয়া, খিদিরপুর, মেটিয়াবুরুজের বিভিন্ন রুটে মিনিবাস প্রায় সবই তুলে নেওয়া হচ্ছে আজ।
একুশে জুলাই কোন কোন রাস্তা অবরুদ্ধ থাকবে?
ধর্মতলায় বেলা ১২টা থেকে সমাবেশ শুরু। সকাল থেকে শহরের ২৬টি জায়গা থেকে মিছিল ঢুকবে ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকে। এদিন শ্যামবাজার-ভূপেন বসু অ্যাভিনিউ-বিধান সরণি-কলেজ স্ট্রিট-গণেশ অ্যাভিনিউ-চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ-ধর্মতলা, কলকাতা স্টেশন-আর জি কর রোড-শ্যামবাজার- চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ- ধর্মতলা পর্যন্ত রাস্তা অবরুদ্ধ থাকবে। পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়-এ জে সি বসু রোড- মৌলালি-এস এন ব্যানার্জি রোড-ধর্মতলা, হাজরা মোড়-শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড আশুতোষ মুখার্জি রোড-জওহরলাল নেহরু রোড-ধর্মতলা, শিয়ালদা স্টেশন-এ জে সি বসু রোড-মৌলালি-এস এন ব্যানার্জি রোড-জওহরলাল নেহরু রোড-ধর্মতলা হাওড়া সেতু-ব্রেবোর্ন রোড- ইন্ডিয়া এক্সচেঞ্জ প্লেস- পোদ্দার কোর্ট-চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ-ধর্মতলা।
কী কী ব্যবস্থা?
কলকাতার তিন জায়গায় ন'টি জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন থাকবে। সমাবেশ চত্বর ১৫টি জোনে বিভক্ত থাকবে। পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম। প্রায় পাঁচ হাজার পুলিশকর্মী থাকবেন। মঞ্চের আশপাশে বহুতল থেকে নজরদারি চালানো হয়।
আজ থেকে ধর্মতলায় সভায় যোগ দিতে শনিবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাওড়া স্টেশনে আসছে তৃণমূল সামর্থকরা। তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে উত্তর হাওড়ার বেশ কয়েকটি জায়গায়। কর্মী সমর্থকদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাপনা দেখতে সকাল সকাল হাজির হন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়।