Advertisement

গঙ্গার ভাঙন রোধে দেখা নেই প্রশাসনের! সামসেরগঞ্জে নির্বাচন বয়কটের ডাক স্থানীয়দের

সামশেরগঞ্জ বিধানসভায় নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে। তার আগেই চাঞ্চল্য এই বিধানসভা কেন্দ্রে। এবার ভোট বয়কটের ডাক মুর্শিদাবাদের জেলার সামসেরগঞ্জে। সামশেরগঞ্জের নিমতিতা পঞ্চায়েতের ধানঘরায় ভাঙনের পর দেখা মেলেনি প্রশাসনিক কর্তাদের। সেচ দপ্তর থেকে গঙ্গা ভাঙন রোধ করার জন্য বালির বস্তা ফেলতে আসলে বাঁধা দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা।

সামশেরগঞ্জে গঙ্গার ভাঙন
গোপাল ঠাকুর
  • মুর্শিদাবাদ,
  • 18 Sep 2021,
  • अपडेटेड 6:06 PM IST
  • ভোট বয়কটের ডাক মুর্শিদাবাদের জেলার সামসেরগঞ্জের বাসিন্দারা
  • সামশেরগঞ্জের নিমতিতা পঞ্চায়েতের ধানঘরায় ভাঙনের পর দেখা মেলেনি প্রশাসনিক কর্তাদের
  • সেচ দপ্তর থেকে গঙ্গা ভাঙন রোধ করার জন্য বালির বস্তা ফেলতে আসলে বাঁধা দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা।

সামশেরগঞ্জ বিধানসভায় নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে। তার আগেই চাঞ্চল্য এই বিধানসভা কেন্দ্রে। এবার ভোট বয়কটের ডাক মুর্শিদাবাদের জেলার সামসেরগঞ্জের বাসিন্দারা। সামশেরগঞ্জের নিমতিতা পঞ্চায়েতের ধানঘরায় ভাঙনের পর দেখা মেলেনি প্রশাসনিক কর্তাদের। সেচ দপ্তর থেকে গঙ্গা ভাঙন রোধ করার জন্য বালির বস্তা ফেলতে আসলে বাঁধা দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা।

গঙ্গার জলস্তর কম হওয়ায় ফের নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের ধানঘরা গ্রামে। শুক্রবার সন্ধে থেকে নতুন করে ভয়াবহ ভাঙনে তলিয়ে যায় কয়েকশো বিঘা জমি। বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র পালাচ্ছে প্রায় ৫০ টিরও বেশি পরিবার, বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।  এদিকে নতুন করে ভাঙনের খবরে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন এলাকাবাসী। অবিলম্বে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বিধানসভা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন ধানঘরা, হিরানন্দপুর এলাকার বাসিন্দারা। 

শনিবার সকালে নৌকা করে সেচ দপ্তর বালির বস্তা নিয়ে এলে তা ফেলতে বাঁধা দেয় এলাকার মানুষ। ফেরৎ পাঠানো হয় বালির বস্তা বোঝাই নৌকা। সামশেরগঞ্জের নিমতিতা পঞ্চায়েতের ধানঘরার  উপ-প্রধান মইদুল ইসলাম ভাঙন মেরামতির প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "এত বড় গঙ্গা ভাঙন রোধ করা রাজ্য সরকারের দ্বারা সম্ভব না। যদি কেন্দ্র সরকার এগিয়ে আসে তবে এই গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। যতটুকু সম্ভব রাজ্য সরকার সেচ দপ্তরের মাধ্যমে বালির বস্তা ফেলে কাজ করাচ্ছে। কিন্তু এইরকম চলতে থাকলে আগামী দিনে এই গ্রাম গুলি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে তাঁর দাবি।

সামশেরগঞ্জ বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী মিলন ঘোষের অভিযোগ যে সামশেরগঞ্জ বিধানসভায় গঙ্গার ভাঙন রোধ করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। যেহেতু গঙ্গার তীরবর্তী এলাকায় যে জমি আছে সেই জমির উপর কর নেই রাজ্য সরকার তাই এই এলাকায় ভাঙনের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। "তৃণমূল যে অভিযোগ করছে কেন্দ্রের দায়িত্ব তা মিথ্যা। গঙ্গার ভাঙন প্রতিরোধ করতে হবে কেন্দ্রেকে। কারণ, পার্শ্ববর্তী ব্লকে ফরাক্কায় গঙ্গার ওপর কেন্দ্রের একটি প্রোজেক্ট আছে। সেই প্রজেক্টে গঙ্গার তীরবর্তী এলাকায় ওপরে ৬ কিলোমিটার ও নীচে সাড়ে ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত গঙ্গা ভাঙন হলে কেন্দ্র তার দেখভাল করবে।" কাটমানির জন্য কেন্দ্রের টাকা শেষ হয়ে গেছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি আরও বলেন,"সামশেরগঞ্জ বিধানসভায় যদি আমরা আগামী দিন জিতে আসতে পারি সেক্ষেত্রে আমরা গঙ্গা ভাঙনের স্থায়ী সমাধান করব। গঙ্গায় যে চর পড়েছে তার ফলে গঙ্গার গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। এরফলে গঙ্গা ভাঙন হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমরা বিধানসভায় জিতে আসলে ড্রেজিং এর মাধ্যমে গঙ্গার গতিপথ আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব," বলে তিনি জানান।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement