Advertisement

EXCLUSIVE: ''কথা বলতে তো অসুবিধে নেই, তবে এখনও কিছু ভাবিনি'', বিজেপিতে যোগ প্রসঙ্গে রুদ্রনীল

বরাবরই মমতা ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত রয়েছে তাঁর। কিন্তু এবার তাঁকেও 'বেসুরো' হতে দেখা গেল। তবে অভিনেতা বারবার দাবি করেছেন, তিনি আঘাত পেয়েছেন মমতার আশেপাশে থাকা নেতা-কর্মীদের কর্মকান্ডে। তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা ছিল-থাকবে। তাহলে কি গেরুয়া শিবিরে আসছেন রুদ্র?

অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। ফোটো- ফেসবুক
দেবস্মিতা দাস
  • কলকাতা ,
  • 07 Jan 2021,
  • अपडेटेड 2:22 PM IST
  • তাহলে কি গেরুয়া শিবিরে আসছেন রুদ্র?
  • এই প্রশ্ন ঘুরতে শুরু করেছিল রাজৈনিতক আঙিনায়
  • বিজেপিতে যোগ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক রুদ্রনীল ঘোষ

বেশ কয়েকদিন থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। বরাবরই মমতা ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত রয়েছে তাঁর। কিন্তু এবার তাঁকেও বেসুরো হতে দেখা গেল। তবে অভিনেতা বারবার দাবি করেছেন, তিনি আঘাত পেয়েছেন মমতার আশেপাশে থাকা নেতা-কর্মীদের কর্মকান্ডে। তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা ছিল-থাকবে। তাহলে কি গেরুয়া শিবিরে আসছেন রুদ্র? এই প্রশ্ন ঘুরতে শুরু করেছিল রাজৈনিতক আঙিনায়। 

তার মধ্যেই রুদ্রনীলের জন্মদিনের বিকেলে বাড়িতে যান বিজেপির যুব নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। জল্পনা বিজেপির এক শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে নাকি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে আজতক বাংলাকে রুদ্রনীল জানালেন, ''যে কোনও মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারি। আর কেউ যদি কোনও প্রস্তাব দেন এবং তার সঙ্গে আমার ভাবনা বা ইচ্ছেগুলো মিলে যায় সেগুলো নিয়ে তো কথপোকথন হতেই পারে।''

তাহলে কি পদ্মশিবিরে যাচ্ছেন অভিনেতা? রুদ্র বলেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে মানুষ জানে। এই সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পদও সামলেছি। সেরকম কোনও মানুষের বাড়িতে একুশের নির্বাচনের যুযুধান আরেক পক্ষের কেউ যদি আসেন তাহলে তো আলোচনা হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে শঙ্কুকে আমি আজ থেকে চিনি না। অনেক আগে থেকে চিনি। আর কৈলাস বাবুর সঙ্গেও আমার অনেক আগে পরিচয়। কৈলাসবাবু এলে সময় সুযোগ হলে শুনতে কিছু অসুবিধে নেই।''

রুদ্রনীল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলা যায়? এই ক্ষেত্রে অভিনেতার বক্তব্য, ''রাজনৈতিক বিষয়ে চিরকালই স্পষ্ট এবং সক্রিয়। সুতরাং যদি আলোচনায় কোনও দিক বেরিয়ে এলে নিশ্চয়ই ভাবব। তবে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।'' কোথাও কী কাজ করতে অসুবিধে হচ্ছিল তাঁর? রুদ্রর কথায়, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার ভালবাসা আছে থাকবে। কিন্তু সমস্যা হয় তখনই যখন একজন সুপ্রিমোকে বলতে হয় ঘুস খাবেন না কাটমানি নেবেন না। দুঃখজনক, এরপর কারও শাস্তি হল না।''

Advertisement

রুদ্রর মত, মমতা বারংবার বলবার পরেও তাঁকেই সামনে রেখে দলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা দুর্নীতি করে গিয়েছেন। দলের নেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি যা করার চেষ্টা করেছে সেগুলো দলের বাকি মানুষেরা করতে দেননি। এখানে খারাপ লাগা রয়েছে অভিনেতার। ওনার আশেপাশে একাংশ এমন নেতারা রয়েছেন যাঁরা ওনার কাছে ভুল তথ্য পৌঁছে দেন। তারাই সবথেকে বেশি ক্ষতিকারক বলেও দাবি রুদ্রনীল ঘোষের। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement