পুরুষ-নারী এখন সমান, একথা অনেকেই মানেন। পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব কাজ সামলাচ্ছেন মহিলারা। ঘরকন্নার কাজ থেকে শুরু করে বিমান ওড়ানো। কোথাও মেয়েরা পিছিয়ে নেই। তবুও এখনও এই সমাজে কন্যা সন্তানের কদর দেন না অনেকেই। কন্যাসন্তানকে অবহেলা করার নানা ঘটনা প্রায়শই প্রকাশ্যে আসে। তবে সমাজে এখনও অনেক মানুষ আছেন যাঁরা এই ট্যাবু ভেঙে মেয়েকে লক্ষ্মী ভাবেন। ঠিক যেমন রঘুনাথগঞ্জের এই পরিবার। মেয়ে হয়েছে বলে তাঁদের আনন্দ আজ সীমাহীন। কন্যা সন্তান জন্ম নিতেই উৎসবে মাতলেন পরিবারের সদস্যরা।
কন্যা সন্তান সমাজের অভিশাপ নয়। কন্যাসন্তানরা বর্তমানে সংসার জীবন সামলে প্রতিযোগিতামূলক সব ধরনের কাজে ও চাকরিতেও যথেষ্ট এগিয়ে যাচ্ছেন। সমাজের বড় বড় জায়গায় তাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছেন।
কন্যা সন্তান হওয়ার খবর পেয়ে বাড়িতে খুশির আমেজে মাতল মইনুদ্দিন আহমেদের পরিবার। এই খবর পাওয়া মাত্রই রঘুনাথগঞ্জ এক নম্বর ব্লকের দফরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়িবোনার বাসিন্দা মইনুদ্দিন আহমেদের পরিবার আনন্দে আত্মহারা। পরিবারের লোকজন কন্যা সন্তানকে বাড়ি নিয়ে আসার জন্য ফুল সাজানো গাড়ি নিয়ে হাজির হন নার্সিংহোম চত্বরে। গাড়িতে ফুল সাজিয়ে কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় পরিবার।
সংবাদদাতা- সব্যসাচী ব্যানার্জি