
পশ্চিমবঙ্গে SIR (স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন) প্রক্রিয়া নিয়ে নানা অভিযোগ উঠছে। কোথাও অভিযোগ উঠছে, BLO রা বাড়ি বাড়ি না গিয়ে পাড়ার ক্লাবে বা কোথাও ক্যাম্প করে ফর্ম বিলি করছেন ও জমা নিচ্ছেন। BJP আবার অভিযোগ করছে, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত ক্লাবে SIR প্রক্রিয়া চলছে। এহেন প্রচুর অভিযোগের পাহাড়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী সাফ বলে দিলেন, SIR প্রক্রিয়ায় কোনও ত্রুটি থাকলে তার সম্পূর্ণ দায় BLO ও ERO-দের উপরেই বর্তাবে। আইনি প্রক্রিয়ায় সে ক্ষেত্রে পদক্ষেপও নেওয়া হবে।
SIR প্রক্রিয়া নিয়ে কড়া অবস্থান কমিশনের
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে SIR প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে এসেছেন জ্ঞানেশ কুমারের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধিদল। একাধিক জেলায় তাঁরা ঘুরছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে রিভিউ মিটিং হয়। মিটিংয়ে নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটারদের তথ্য যাচাইয়ের দায়িত্ব BLO-দের। অনেক জায়গায় বিক্ষোভ হতে পারে। তবে সেই সব বিক্ষিপ্ত অশান্তি ERO-রা সমাধান করে দিতে পারবেন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও অফিসারদের জ্ঞানেশ ভারতী জানান, SIR প্রক্রিয়ায় কোনও ভুল বা গাফিলতি হলে তার দায় সরাসরি BLO এবং ফিল্ড অফিসারদেরই নিতে হবে।
জেলা নির্বাচন আধিকারিক ও ERO-দের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক
কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা নির্বাচন আধিকারিক ও ERO-দের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়ালও। কমিশনের কঠোর অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি জানান, BLO-রা তথ্য যাচাইয়ের জন্য দায়ী। প্রতিবাদ বা ছোটখাটো সমস্যা হতে পারে। কিন্তু ERO-রা যথেষ্ট সক্ষম, সব সমস্যা সামলাতে।
আজ নদিয়া যাচ্ছেন কমিশনের প্রতিনিধিরা
দক্ষিণ ২৪ পরগনার আলিপুরে আলাদা বৈঠকে জেলার SIR কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন ডেপুটি কমিশনার। আজ অর্থাত্ বুধবার নদিয়ায় গিয়ে এই কাজের অগ্রগতি ফের পর্যালোচনা করবেন তিনি। কমিশনের টিম আরও কয়েকটি জেলায় যাবে। কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৭.৬৩ কোটি এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ হয়েছে। যা ৯৯.৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে ১.০৯ কোটি ফর্ম ইতিমধ্যেই ডিজিটাইজ করা হয়েছে, যা মোট বিতরণ হওয়া ফর্মের ১৪.২৪ শতাংশ।
কমিশনের বার্তা পরিষ্কার, SIR প্রক্রিয়ায় কোনও তথ্য ভুল থাকলে তা আর চাপা থাকবে না। মাঠ পর্যায়ের যে অফিসার ভুল করবেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন। আর প্রযুক্তিগত কোনও সমস্যা, নেটওয়ার্ক স্লো বা আপলোডিংয়ের অসুবিধা দেখা দিলে তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।