ইলিশ এসেছে
উত্তরবঙ্গে ঢুকছে দিঘার ইলিশ। মরশুমে প্রথম ইলিশ হলেও আপাতত মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে থাকবে জলের রুপোলি ফসল।
মানে ভালো, দামেও ভালো
শিলিগুড়ির রেগুলেটেড মার্কেট কয়েকটি ট্রাক ঢুকেছে ইলিশ নিয়ে। শনিবারেই ঢুকে পড়েছে তারা। রবিবার থেকেই ইলিশপ্রেমীদের পাতে পড়তে পারে বর্ষার সবচেয়ে লোভনীয় রেসিপি। তবে সমস্যা একটাই, দাম প্রথম থেকেই চড়া। দাম কমার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
হাতটান, তাই চাহিদা কম ইলিশে
সরবরাহ নিয়মিত হলে ধীরে ধীরে দাম কমবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রেগুলেটেড মার্কেট ফিস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক বাপি চৌধুরী। তিনি জানান, প্রথমে ঢুকলেও আমদানি কম দাম আপাতত একটু বেশি রয়েছে তাই দু-চার দিন আগে বুঝতে পারা যাবে না, চাহিদা এবং মানুষের ক্ষমতা কতটা রয়েছে ইলিশ খাওয়ার।
উত্তরবঙ্গের বাজারই ভরসা ইলিশের
শনিবার শিলিগুড়িতে ইলিশের ট্রাক ঢোকার পরই তা ভাগ হয়ে মালদা,বালুরঘাট, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, চোপড়ার বাজারে চলে যাবে। এই মুহূর্তে বিহারে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, তার কারণ যোগান কম। পাহাড় এবং সিকিমেও আপাতত ইলিশ যাচ্ছে না। আপাতত মূলত উত্তরবঙ্গের বাজারের উপর নির্ভর করে ইলিশের চাহিদা ও যোগান নির্ভর করবে।
ইলিশের যোগান সীমিত
মরশুমে প্রথম প্রায় দেড় টন ইলিশ পাইকারি বাজারে ঢুকেছে। এমনিতে মোটামুটি পাঁচ থেকে ছয় টন গড়ে চাহিদা থাকে বর্ষার মরশুমে। কিন্তু এখনও চাহিদা তেমন বোঝা যাচ্ছে না। কোল্ডস্টোরেজের ইলিশেও নেই তেমন চাহিদা। মানুষের খুব একটা বিক্রি হয়নি জামাইষষ্ঠী ছাড়া। তাছাড়া দিঘাতে ও তেমন মাছ উঠছে না বলে জানা গিয়েছে গ্যাসের প্রভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য কিছুটা তারতম্য হয় অন্যান্য বছরের মতো প্রচুর পরিমাণে ইংলিশ মোহনায় আসছে না।
দাম কত জানেন?
পাইকারি বাজারেই এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের দাম ১৫০০ টাকা কেজি। এক কেজির নীচে ইলিশের দাম ছিল হাজার টাকা। ফলে খুচরো বাজারে ইলিশ কত দামে বিক্রি হবে, তা কেউ জানে না।