সুন্দরবন (Sundarbans)-এর জঙ্গলে মাছ, কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলার শিকার হচ্ছিলেন মৎস্যজীবীরা। তা বন্ধ হচ্ছিল না। আর সেই কারণেই সুন্দরবনের হরিখালি (Harikhali) জঙ্গলে খাঁচা পেতে বাঘ ধরল বন দফতর (Forest Department)। তবে এরপরও মৎস্যজীবীদের সমস্যা কমবে কিনা, সন্দেহ রয়েছে।
রাজ্য বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে সুন্দরবন (Sundarbans)-এর জঙ্গলে মাছ, কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলার শিকার হচ্ছিলেন মৎস্যজীবীরা। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েক বার এমন ঘটনা ঘটেছে। আর তার জেরে অন্তত কুড়ি জন মৎস্যজীবী বাঘের হামলার কবলে পড়েছেন। অনেকে গুরুতর আহত হয়েছে।
তবে এসব বন্ধ হচ্ছিল না। কিছুতেই বাঘের হামলার ঘটনা কমানো যাচ্ছিল না। আর সেই কারণেই সুন্দরবনের হরিখালি (Harikhali) জঙ্গলে খাঁচা পেতেছিল বন দফতর। সেখানে একটি বাঘ ধরা পড়ল।
বন দফতরের দাবি, খাঁচায় ধরা পরা বাঘটিই মৎস্যজীবীদের নিজের শিকার বানাচ্ছিল। তারা জানাচ্ছে, আট বছর বয়স এই বাঘিনীর। ইতিমধ্যে সেটির প্রাথমিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। বন দফতরের দাবী তার মূল শিকার ধরার দাঁত যথেষ্ট ক্ষয়ে গিয়েছে। ফলে জঙ্গলের মধ্যে শিকার ধরতে অসুবিধা হচ্ছিল। আর সেই কারণেই নদীর পাড়ে বসে মৎস্যজীবীদেরকে নিজের শিকার বানাচ্ছিল এই বাঘিনী। মঙ্গলবার খাঁচা পেতে একে ধরা হয়।
বুধবার সন্ধেয় নিয়ে আসা হচ্ছে ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর তাপস দাস বলেন, “গত কয়েকমাসে হরিখালি, পিরখালি এলাকায় বেশ কিছু মৎস্যজীবী বাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। সেই কারণেই আমরা খাঁচা পাতার পরিকল্পনা করি। একটি পূর্ণ বয়স্ক বাঘিনী ধরা পড়েছে তাতে।”
তবে আদৌ এরপর মৎস্যজীবীদের ওপর বাঘের আক্রমণ কমবে কিনা, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় বন দফতর। বন দফতরের দাবি, মৎস্যজীবীরা নদী ছেড়ে জঙ্গলে নামলে বাঘের হামলার মুখে পড়তে পারেন। জঙ্গলে নেমে মাছ, কাঁকড়া ধরার কোনও অনুমতি নেই মৎস্যজীবীদের। এ ব্যাপারে বার বার প্রচার করা হয়। তবে তারপরও থামানো যায়নি। এমনই জানিয়েছে বন দফতর।