Advertisement

Mamata Gangasagar: এক গাড়িতেই সোজা গঙ্গাসাগর, কবে থেকে? ব্রিজ নিয়ে যা জানালেন মমতা

রাজ্য নিজের উদ্যোগেই গঙ্গাসাগরের ব্রিজ বানাবে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ব্রিজের সার্ভে, টেন্ডার, ডিপিআর সংক্রান্ত কাজ হয়ে গিয়েছে বলেও জানালেন তিনি।

গঙ্গাসাগরে ব্রিজ নিয়ে বড় আপডেট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।গঙ্গাসাগরে ব্রিজ নিয়ে বড় আপডেট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 06 Jan 2025,
  • अपडेटेड 5:20 PM IST

রাজ্য নিজের উদ্যোগেই গঙ্গাসাগরের ব্রিজ বানাবে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ব্রিজের সার্ভে, টেন্ডার, ডিপিআর সংক্রান্ত কাজ হয়ে গিয়েছে বলেও জানালেন তিনি। সোমবার বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় মৎসজীবীদের প্রত্যাবর্তনের অনুষ্ঠানের মঞ্চে এমনটা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 

  • গঙ্গাসাগরের জন্য় আমরা যা করার সেগুলো করেছি। আগে আমি যখন গঙ্গাসাগরে এসেছিলাম, দেখেছিলাম কেন সবাই বলত সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। কারণ কুম্ভমেলায় কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা দেয়। আর গঙ্গাসাগর মেলাতেও ১ কোটির বেশি লোক আসে। বারবার আমি বলেছি এটাকে জাতীয় মেলা ডিক্লেয়ার করতে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা করেনি। 
     
  • কুম্ভমেলায় হাজার-হাজার কোটি টাকা দেওয়ার ফলে ওরা ডাইরেক্ট ট্রেনে গিয়ে নামতে পারে, ডাইরেক্ট প্লেনে গিয়ে নামতে পারে, ডাইরেক্ট গাড়িতে গিয়ে নামতে পারে। কিন্তু আমাদের এখানে একটা একটা করে জলে পার হতে হয়। এটা কত টাফ। প্রশাসনকে কীভাবে কাজ করতে হয়, প্রশাসন, এনজিও, আমাদের ৮-১০ জন মন্ত্রী থাকেন, প্রশাসনিক কর্তারা থাকেন। 
     
  • এখানে রাস্তা, বিদ্যুৎ, আলো, পানীয় জলের ব্যবস্থা, হাসপাতাল, জেটি, হেলিকপ্টার পরিষেবা, হেলিপ্যাড- সব করে দেওয়া হয়েছে। আর ৯-১৭ যে তীর্থযাত্রীরা, সে সাংবাদিকই হোক, প্রশাসনের কেউ হোক, তীর্থযাত্রীরাই হোক, যদি কেউ কোনও দুর্ঘটনায় প্রয়াত হন, তার জন্য কিন্তু ৫ লক্ষ টাকার বিমাও করা হয়েছে।
     
  • আমরা দেখেছি, অনেক চেষ্টা করেছি যে এখানে একটা ব্রিজ হওয়া দরকার। যাতে মানুষ এখানে সরাসরি গাড়ি করে আসতে পারে। আসলে এতদিন এটা কেউ ভাবেনি। আর কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল একবার। কোনও এক মন্ত্রী আমাকে কথা দিয়ছিল যে তারা সেতুটা করে দেবে। বলে আমি ৩-৪ বছর আমি তাদের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, কিন্তু তারা করেনি। 
     
  • এখন আমি মনে করি গঙ্গাসাগরে যখন তারা এক পয়সাও দেয় না, তখন কোনওদিনই করবে না। সুতরাং যেটা করতে হবে, অনেক খরচ থাকলেও, আর্থিক সঙ্কট থাকলেও মুড়িগঙ্গার উপর গঙ্গাসাগর সেতু তৈরির প্রয়োজনীয়তা আছে। 
     
  •  ইতিমধ্যেই এর সার্ভে হয়ে, ডিপিআর হয়ে টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে। দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এর জন্য টাকাও তৈরি আছে। এর জন্য় ২-৩ বছর সময় লাগবে। ৪-৫ কিলোমিটার সেতু হবে। পাশ দিয়ে রাস্তাও হবে। ইঞ্জিনিয়ারদের অনেক কষ্ট করে সাগরের উপর দিয়ে তৈরি করতে হবে। এর ফলে গঙ্গাসাগরের মানুষের, সুন্দরবনের মানুষের যেমন উপকার হবে, তেমনই তীর্থযাত্রীরা দলে দলে আসবেন গঙ্গাসাগরে, কপিল মুনির আশ্রমে। 
     
  • এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগরের মহারাজের উদ্দেশে বলেন, 'আমাদের যেটুকু প্রয়োজন আমরা করে দিয়েছি। কিন্তু সমুদ্র ক্রমেই এগিয়ে আসছে। কখনও কখনও কপিল মুনির আশ্রমের একদম সামনে চলে আসে। আপনারা তো অনেক দান ধ্যান পান। এটা আপনারা উত্তরপ্রদেশের আশ্রমে পাঠান। সেটা ঠিক আছে, আপনাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত সেটা। কিন্তু আমার অনুরোধ সেই ফান্ড থেকে আপনারা কিছুটা নিয়ে কংক্রিটের কিছু যদি বানিয়ে দেন, তাহলে একটা স্থায়ী সমাধান হতে পারে। আমাদের যেটুকু সম্ভব, সেটুকু করি। আপনাদের থেকে তো কোনও টাকা আমরা নিই না। বরং আমাদের সাধ্যমতোই আমরা ড্রেজিং করি, জেটি, ট্রান্সপোর্ট, হাসপাতালের ক্যাম্প সবকিছু, সব পরিষেবাই দিচ্ছি।'
     
  • মুড়িগঙ্গার ব্রিজটা আমরা করে দেব। এখন তৈরি করতে যে সময়টা লাগবে। তাড়াহুড়ো যাতে না করি, যাতে আধরাস্তায় যেন ভেঙে না পড়ে। যাতে এটা চিরকাল রয়ে যায়।
     
  • আপনারা জানেন বকখালি দিয়ে আগে যাওয়া যেত না, সেই ব্রিজটা আমরা করে দিয়েছি। এখন বকখালি গাড়ি করে চলে যাওয়া যায়। 

আরও পড়ুন

Read more!
Advertisement
Advertisement