Advertisement

Singur: সালিশি সভায় ডেকে যুবতীর শ্লীলতাহানি, খুনের হুমকি, শোরগোল সিঙ্গুরে

পঞ্চায়েতের সালিশি সভায় ডেকে পাঠিয়ে এক যুবতীর সঙ্গে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল সিঙ্গুরে। এমনকী প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। শোরগোল পড়ে গিয়েছে সিঙ্গুরে। অভিযোগ অস্বীকার উপপ্রধানের।

সিঙ্গুরের পঞ্চায়েত সালিশি সভা ঘিরে শোরগোলসিঙ্গুরের পঞ্চায়েত সালিশি সভা ঘিরে শোরগোল
প্রীতম ব্যানার্জী
  • সিঙ্গুর, হুগলি ,
  • 06 Dec 2025,
  • अपडेटेड 6:02 PM IST
  • সালিশি সভায় ডেকে পাঠিয়ে যুবতীর শ্লীলতাহানি
  • প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে তাঁকে
  • অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সিঙ্গুরে

পঞ্চায়েতে সালিশি সভা চলাকালীন যুবতীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল। এমনকী তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও শাসানি দেওয়া হল। ঘটনা হুগলির সিঙ্গুরের নসিবপুর। ইতিমধ্যেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই যুবতী।

অভিযোগ,জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চায়েতে সালিশি সভা চলাকালীন ওই যুবতীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়। এমনকী, মুখ খুলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। যুবতী আতঙ্কিত হয়ে সিঙ্গুর থানায় না গিয়ে মেইল করে অভিযোগ দায়ের করেন।

জানা গিয়েছে, হুগলির সিঙ্গুর থানার দেশাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবতী সম্পত্তি বিক্রির বিষয়ে নসিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে যান। পঞ্চায়েত থেকে তাঁকে সালিশি সভায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি যুবতীর। সেই মত তিনি পৌঁছন নির্দিষ্ট সময়ে। যুবতীর অভিযোগ, সালিশি সভা চলাকালীন নসিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোবিন্দ ধারার সামনেই তৃতীয় এক ব্যক্তি তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করে। খুনের হুমকিও দেয়। মোবাইলে ওই ব্যক্তির ছবি তুলে নেন যুবতী। কিন্তু প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে সেই ছবি মোবাইল থেকে ডিলিট করে ফেলতে বাধ্য করা হয়। 

অভিযোগকারী যুবতীর বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত। সম্পত্তি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। সেই সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে কাকার সঙ্গে পারিবারিক বিবাদ রয়েছে তাঁদের। সেই বিবাদেরই নিষ্পত্তির জন্যই নসিবপুর পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যুবতী। কিন্তু গোল বাঁধে তাঁকে সালিশি সভায় ডেকে পাঠানোয়। ওই যুবতীর অভিযোগ,  'চারিদিকে যেভাবে গুন্ডাদের রাজত্ব চলছে, পঞ্চায়েতে গিয়ে যদি হুমকি খেতে হয়, থানাতে গিয়েও দেখা যাবে যে গুন্ডা বসে রয়েছে, তাই অনলাইনে অভিযোগ করেছি।'


এদিকে যাঁর সামনে এই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, নসিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেই উপপ্রধান গোবিন্দ ধারা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, 'সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। কোনও জোর জুলুম বা হুমকির ঘটনা ঘটেনি।' উল্টে পঞ্চায়েতের ভিতরে ওই যুবতীই মোবাইল ফোনে ছবি তুলছিলেন বলে দাবি উপপ্রধানের।

Advertisement

রিপোর্টার:রাহি হালদার

 

Read more!
Advertisement
Advertisement