এই তো কয়েকমাস আগেই রাজ্যের তিন পুরনিগম বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ির সঙ্গে ভোট হয়েছিল আসানসোলে। গণননার শুরুর থেকেই আসানসোলের বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল ঘাসফুল। কিন্তু ২৭ নং ওয়ার্ডে এসে থমকাতে হয় তৃণমূলকে। সেখানে বিজেপি প্রার্থী চৈতালি তিওয়ারি একাই থামিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের বিজয়রথ। শেষ পর্যন্ত ১,৫৬১ ভোটে নিকটবর্তী নির্দল প্রার্থীকে হারিয়ে জয় লাভ করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে এই জয়ে স্বাভাবিক ভাবেই আপ্লুত চৈতালি, সমস্ত কৃতিত্ব দিয়েছিলেন স্বামী জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। এবার জিতেন্দ্র পত্নী সেই চৈতালি রাজ্য সরকারে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। আর তাতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আগামী ২১ মে থেকে রাজ্যে ফের চালু হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প দুয়ারে সরকার। তার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন জিতেন্দ্র জায়া চৈতালি তিওয়ারি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার ছবি দিয়ে পোস্ট করা একটি লিফলেটে চৈতালি লিখেছেন, রাজ্য সরকার যে দুয়ারে সরকার শিবির চালাচ্ছে সেখানে গিয়ে তাঁর ওয়ার্ডের মানুষজন যেন সরাকরি প্রকল্পের সুবিধে নেন। চৈতালি লিখেছেন, ‘রাজ্য সরকার যে দুয়ারে সরকার শিবির চালাচ্ছে সেখানে যান। ওয়ার্ডের মানুষজন সরকারি প্রকল্পের সুবিধে নিন। দলের কর্মীরাও যান কাজ শেষ করার জন্য এবং ওয়ার্ডের মানুষকে সাহায্য করার জন্য।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি পরাজিত হওয়ার পর জিতেন্দ্র তিওয়ারি ট্যুইট করেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামাজিক প্রকল্পের জন্য এই হার হয়েছে। তা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের। এবার ফেসবুক পোস্ট করে সেই সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা মানুষকে নিতে বলেছেন জিতেন্দ্রর কাউন্সিলর স্ত্রী। এই বিষয়ে আসনসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাইন্সিলরের বক্তব্য, ‘রাজ্যের ২ কোটি ৩৮ লাখ মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। তাদের করের পয়সা রাজ্যের কোষাগারে জমা পড়েছে। তাহলে তারা কেন রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধে নেবেন না।’ গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, নিজেদের বেশকিছু কাজ পড়ে রয়েছে। সেই কাজ যাতে শেষ করা যায় তার জন্য দলের কর্মীদের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর তথা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি।