
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক কাজের রিপোর্ট রাজভবনে আচার্য তথা রাজ্যপালকে পাঠাতে হবে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের অনুমোদন নিতে হবে আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের কাছে রাজভবন থেকে এই মর্মে নির্দেশ পৌঁছেছে বলে সূত্রের খবর।
রাজভবনের সাম্প্রতিক নির্দেশে জানানো হয়েছে, উপাচার্যেরা সরাসরি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। রাজভবনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয় দেখবেন রাজ্যপালের সিনিয়র বিশেষ সচিব দেবাশিস ঘোষ। আচার্যের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি হস্তান্তরের কোনও সিদ্ধান্তও নেওয়া যাবে না।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় আইনে একটি সংশোধন এনেছিল যার অধীনে ভিসিদের উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমে প্রধান সমস্যাগুলিতে চ্যান্সেলরের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছিল। রাজভবনে তাঁর প্রবেশের পর থেকে এ পর্যন্ত রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার বার্তাই দিয়ে আসছিলেন সি ভি আনন্দ বোস।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাশে বসিয়ে বার্তাও দিয়েছিলেন। রাজ্যপালের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, “শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনও দ্বন্দ্ব নয়। বাংলা নিজের শিক্ষা, সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। আমাদের সকলকে সেই জায়গা ধরে রাখতে হবে।” জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল থাকাকালীন রাজভবন এবং শিক্ষা দপ্তরের দূরত্ব চরমে উঠেছিল। এমনকী ধনকড়কে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সেই পদে আনার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। রাজভবন ও নবান্নের সুসম্পর্কে কি এবার ইতি পড়তে চলেছে?