ডিএ আন্দোলনকারীদের পর এবার তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাড়ায় মিছিল করবেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরাও। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি সাপেক্ষেই হবে ওই মিছিল। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই মিছিলের অনুমতি দিয়েছেন। তবে এবারের মিছিল হবে সন্ধ্যায়। আগামী ১৭ মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ওই এলাকায় মিছিল করবেন গ্রুপ ডি আন্দোলনকারীরা। মিছিলকারীদের হাতে থাকবে হ্যারিকেন।
হ্যারিকেন নিয়ে মিছিল কেন?
মিছিলে আন্দোলনকারীদের হাতে হ্যারিকেন থাকবে কেন, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এই বিষয়ে আন্দোলনকারীর জানাচ্ছেন, রাজ্য সরকার তাঁদের হাতে হ্যারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে। তাই সেই হ্যারিকেন নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় মিছিল করতে চান তাঁরা। আদালত অবশ্য মিছিলের রুটও বলে দিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, শহিদ মিনার ময়দান থেকে শুরু হবে মিছিল। এরপর মিছিল জওহরলাল নেহরু রোড ধরে এক্সাইড হয়ে হাজরা মোড়ে পৌঁছবে। হাজরা থেকে ডানদিকে মোড় নিয়ে হরিশ মুখার্জি রোড হয়ে কালীঘাট থানার সামনে শেষ হবে মিছিল। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় এহেন মিছিলের অনুমতি ঘিরে ইতিমধ্যেই পারদ চড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিকমহলে।
কিছুদিন আগেও মিছিল
দিন কয়েক আগেও অবশ্য এই ধরনেরই এক মিছিলের সাক্ষী থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে চলা আন্দোলনের শততম দিন উপলক্ষে গত ৬ মে কলকাতার রাজপথে মিছিলে হাঁটেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল যাওয়া নিয়ে ওইদিনও সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি। যে কোনওরকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। কড়া নিরাপত্তার মাঝেই অভিষেকের বাড়ির সামনে দিয়ে এগোয় মিছিল। সেই সময় 'চোর-চোর' স্লোগান ওঠে বলে দাবি কারও কারও। যদিও অভিষেকের বাড়ির কাছেই ওইদিন চলছিল রবীন্দ্র জয়ন্তীর মহড়া। তীব্র শব্দে বাজছিল রবীন্দ্র সঙ্গীত। তাতে কিছুটা চাপা পড়ে যায় ওই স্লোগান। সেক্ষেত্রে কারও কারও ধারনা স্লোগান চাপা দিতেই বিশেষ কৌশল নিয়েছিল শাসক দল। শুধু অভিষেকের বাড়ির সামনেই নয়, হাজরা রোড ধরে যাওয়ার সময় অন্যত্রও ওই স্লোগান শোনা যায় বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন - ICSE-তে দেশে প্রথম জেলার ছেলে সম্বিত, ISC-তেও যুগ্ম প্রথম শুভম-মান্য