আগামী সপ্তাহ জুড়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস। এর জেরেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস। কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে টানা তিন দিন ধরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২৭ মে পশ্চিম মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ। এর প্রভাবেই ২৮ মে থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। বর্ষার আগে এমন নিম্নচাপের কারণে গরমের হাত থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
২৮ মে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু কিছু অংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
২৯ মে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়।
৩০ মে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই বর্ধমান, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং হুগলি জেলার কিছু জায়গায়।
আজ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোনও কোনও জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও আজ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে থাকতে পারে দমকা হাওয়া।
২৮ মে কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
২৯ মে কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হতে পারে।
৩০ মে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং মালদার কিছু অংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এ বছর নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ আগেই ২৫ মে শনিবার কেরলে ঢুকে পড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। গত ১৬ বছরে এই প্রথম এত আগেভাগে কেরলে বর্ষা এসেছে। সাধারণত কেরলে ১ জুন বর্ষা ঢোকে।
বাংলায় বর্ষা ঢোকার স্বাভাবিক সময় উত্তরবঙ্গে ৮ জুন এবং দক্ষিণবঙ্গে ১০ জুনের পর। তবে কেরলে আগেই বর্ষা ঢুকলেও বাংলায় সময়ের আগে ঢুকবে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। হাওয়া অফিসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কেরলে বর্ষা ঢুকলেও বাংলায় তার কোনও সরাসরি প্রভাব পড়বে না। এখন সবাই তাকিয়ে রয়েছে, কবে নাগাদ বাংলায় ঢোকে এবারের বর্ষা।