চাপে পুলিশ, চাপে রাজ্য
ফের হাইকোর্টের নির্দেশে চাপে পড়ল রাজ্য, চাপে পুলিশও। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পেশ করা রিপোর্টের ভিত্তিতে পাঁচটি বেঞ্চ কোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নির্দেশে বল এখন রাজ্যের কোর্টে।
প্রতিটি ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগকে মামলায় পরিণত করতে হবে
শুক্রবার একটি রায়ে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রত্যেকটি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করতে পুলিশকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কারও অভিযোগ খতিয়ে না দেখে মামলা না করে, রুল আউট করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। শুক্রবার পোস্ট-পোল ভায়োলেন্স-এর বিরুদ্ধে পাঁচটি বেঞ্চ একসঙ্গেই নির্দেশ জারি করেছে।
জখমদের চিকিৎসা ও রেশন দিতে হবে রাজ্যকে
পাশাপাশি ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের জন্য প্রত্যেক জখম ও আহতকে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। পাশাপাশি প্রত্যেকে যাতে রেশন পায়, সেই বন্দোবস্ত করতে হবে রাজ্যকেই। এটাও রায়ে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। যদি কোনও অত্যাচারিতের কাছে রেশন কার্ড না থাকে, তাহলেও তাঁদের রেশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। সাফ জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।
পুলিশ, জেলাশাসককে শোকজ নয় কেন ?
সেই সঙ্গে বিজেপি নেতা অভিজিৎ সরকারের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জেলাশাসক, যাদবপুরের পুলিশকর্তা, জেলা পুলিশ সুপারদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে না, সে বিষয়ে জবাবদিহি চেয়ে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে হাইকোর্টের তরফে।
সমস্ত নথি হাতের কাছে রাখতে হবে মুখ্য়সচিবকে
এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ভোট-পরবর্তী হিংসা ও সন্ত্রাসের সমস্ত রকম নথি সংরক্ষণ এ নির্দেশ দিলো হাইকোর্ট। কোনও নথি যেন হারিয়ে না যায়, চাইলেই পাওয়া যায় এমন সহজলভ্য করে রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
জাভেদ শামিম সমস্ত নথি দিয়েছেন দাবি এজির
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পেশ করা রিপোর্টের ভিত্তিতে, হাইকোর্টে এদিন এই নির্দেশগুলি দেয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এদিকে জিজ্ঞাসা করেন, রাজ্যের কাছে চাওয়া সমস্ত তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। এটি হাইকোর্টকে জানালে জবাবদিহি চাওয়া হবে। তার উত্তরে এজি জানিয়ে দেন, রাজ্য পুলিশের ডিজি আইন-শৃঙ্খলার জাভেদ শামিম জানিয়েছেন, জাতীয় হিউম্যান রাইটস কমিশন থেকে সমস্ত তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে।
রাজ্যের অবস্থান জানা যায়নি
হাইকোর্টের এমন নির্দেশ ও মনোভাবের পর রাজ্য কি অবস্থান নেয় তা এখন দেখার। এর আগে বিভিন্ন মামলায় বিচারপতির অপসারণ চেয়ে অনাস্থা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলের নেতারা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া নিয়েও নাখুশ ছিলেন তাঁরা।