Advertisement

Murshidabad Violence: 'ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে ভগবানকে ডাকছিলাম...', আতঙ্কের কাহিনি শোনাল সামশেরগঞ্জের হিন্দু পরিবার

আতঙ্ক! এই শব্দটাই ওঁদের চোখেমুখে স্পষ্ট। কয়েক ঘণ্টার তাণ্ডবে দুই সন্তানকে নিয়ে ভয়ে কাঁপছিলেন মহিলা। সেই সময় ঘরে লুঠপাট, ভাঙচুর চালাচ্ছেন কয়েক জন উন্মত্ত জনতা। কোনও রকমে সন্তানদের নিয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে ঘরের এক কোণায় লুকিয়ে ঈশ্বরের শরণাপন্ন হয়েছেন। মুর্শিদাবাদে হিংসায় এমনই এক ভয়ঙ্কর মুহূর্ত চাক্ষুষ করেছেন মঞ্জু ভগত নামে এক মহিলা। আতঙ্কের সেই কাহিনি শুনল আজতক। 

আতঙ্কের কাহিনি শোনাল পরিবার।আতঙ্কের কাহিনি শোনাল পরিবার।
ইন্দ্রজিৎ কুণ্ডু
  • মুর্শিদাবাদ,
  • 12 Apr 2025,
  • अपडेटेड 2:33 PM IST
  • আতঙ্ক! এই শব্দটাই ওঁদের চোখেমুখে স্পষ্ট।
  • কয়েক ঘণ্টার তাণ্ডবে দুই সন্তানকে নিয়ে ভয়ে কাঁপছিলেন মহিলা।
  • আতঙ্কের সেই কাহিনি শুনল আজতক। 

আতঙ্ক! এই শব্দটাই ওঁদের চোখেমুখে স্পষ্ট। কয়েক ঘণ্টার তাণ্ডবে দুই সন্তানকে নিয়ে ভয়ে কাঁপছিলেন মহিলা। সেই সময় ঘরে লুঠপাট, ভাঙচুর চালাচ্ছেন কয়েক জন উন্মত্ত জনতা। কোনও রকমে সন্তানদের নিয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে ঘরের এক কোণায় লুকিয়ে ঈশ্বরের শরণাপন্ন হয়েছেন। মুর্শিদাবাদে হিংসায় এমনই এক ভয়ঙ্কর মুহূর্ত চাক্ষুষ করেছেন মঞ্জু ভগত নামে এক মহিলা। আতঙ্কের সেই কাহিনি শুনল আজতক। 

সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় শুক্রবার থেকে ফের নতুন করে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের সুতি, সামশেরগঞ্জ এলাকা। গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পাথরবৃষ্টির মতো ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল থেকেও মুর্শিদাবাদের ওই এলাকাগুলি থমথমে রয়েছে। চলছে ধরপাকড়, পুলিশি টহল। এমন আবহে আজতকের কাছে ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন সামশেরগঞ্জের বাসিন্দা মঞ্জু। 

৫০০ মিটার দূরত্বে রয়েছে সামশেরগঞ্জ থানা। অথচ পুলিশের নাগালের মধ্যেই এলাকার ঘরবাড়ি, দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। আক্রান্তদের দাবি, পুলিশকে ফোন করলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। অবাধে লুঠপাট চালিয়েছে অভিযুক্তরা। আক্রান্তদের দাবি, পুলিশ পরে ঘটনাস্থলে যায়। 

ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন অমর ভগতের স্ত্রী মঞ্জু। তিনি জানিয়েছেন, উত্তেজিত জনতা প্রথমে তাঁদের বাড়ির মূল দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। ভাঙতে না পেরে ক্ষিপ্ত জনতার দল পিছনের দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। বাইকে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘরে লুটপাঠ চালানো হয়। টিভি, চেয়ার, ম্য়াট্রেস সবকিছু লুঠ করেছে। সেই সময় দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একা ছিলেন মঞ্জু। তাঁর কথায়, আমরা সবাই ভয়ে কাঁপছিলাম। শুধু ভগবানকে ডাকছিলাম। মেয়ের সঙ্গে যদি খারাপ কিছু ঘটে যেত, তা হলে কী হত, এই ভেবে শিউরে উঠছেন ওই মহিলা। সেই সময় বাড়িতে তাঁর স্বামী ছিলেন না। তিনি দোকানে আটকে পড়েছিলেন। স্বামীর জন্যও সেই সময়  একরাশ দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছিল মঞ্জুর মনে।

তাঁর কন্যার কথায়, আমাদের বাড়িটা চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। পাথর ছোড়া হচ্ছিল। ঘর থেকে পালানোর সুযোগ হয়নি। ছাদের এক কোণায় লুকিয়ে ছিলাম। চুপচাপ বসে সবটা দেখলাম। 

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement