Advertisement

Manoranjan Byapari:"বন্দুক দেখিয়ে ভোটে জিতলে দায়বদ্ধতা থাকে না", বিস্ফোরক মনোরঞ্জন ব্যাপারী

সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের একবার বিস্ফোরক বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। গত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল বিধায়ককে দেখা যাচ্ছে দলের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হবে। সেই ধারা বজায় রাখলেন তিনি। বিশাল পোস্টে ফের আক্রমণ শানালেন দলের একাংশকে। বলাগড়ের বিধায়কের অভিযোগ করেছেন, দলেরই স্থানীয় নেতাদের একাংশের জন্য গুপ্তিপাড়ায় নিজের বিধায়ক কার্যালয়ে বসতে পারছেন না তিনি৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের একবার বিস্ফোরক বলাগড়ের বিধায়ক
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 10 Aug 2021,
  • अपडेटेड 12:22 AM IST
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের একবার বিস্ফোরক বলাগড়ের বিধায়ক
  • ফের দলের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে সরব
  • লিখলেন, 'বন্দুক দেখিয়ে যারা ভোটে জেতে তাদের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে না'


সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের একবার বিস্ফোরক বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। গত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল বিধায়ককে দেখা যাচ্ছে দলের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হতে। সেই ধারা বজায় রাখলেন তিনি। বিশাল পোস্টে ফের আক্রমণ শানালেন দলের একাংশকে। বলাগড়ের বিধায়কের অভিযোগ করেছেন, দলেরই স্থানীয় নেতাদের একাংশের জন্য গুপ্তিপাড়ায় নিজের বিধায়ক কার্যালয়ে বসতে পারছেন না তিনি৷ ৪-৫ জন দুষ্কৃতী তাঁকে নিয়মিত অশ্রাব্য ভাষায় অপমান করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি ৷ তৃণমূল বিধায়ক ফেসবুকে লিখেছেন, এই হেনস্থার একটা বিহিত করতেই এবার তিনি কলকাতায় এসেছেন৷ তৃণমূল বিধায়কের কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত, বিষয়টি নিয়ে সম্ভবত দলীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগও জানাবেন তিনি৷

দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করলেও বার বারই নিজের বিধানসভা এলাকার নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারি৷ একাধিকবার বিড়ম্বনায় ফেলেছেন দলকে। সোমবার  বলাগড়ের বাসিন্দাদের উদ্দেশে তিনি লেখেন, 'কলকাতা চলে আসতে বাধ্য হবার জন্য গুপ্তিপাড়ায় উপস্থিত থাকতে পারছি না । আমি কেন আচমকা কলকাতা এলাম এটা আপনাদের নিশ্চয় বলে দিতে হবে না।' তিনি লেখেন, 'কয়েক দিন ধরে বলাগড় অঞ্চলে যা যা ঘটছে সব আপনারা জানেন। এর একটা নিরাকরন , বিহিত করা দরকার। আপনাদের পরিষেবা ব্যাহত হবার জন্য ওই ঘটনা, যারা ওইসব ঘটনাকে পরিকল্পিত ভাবে সংঘটিত করে চলেছে তারাই মূলতঃ দায়ী।' তৃণমূল বিধায়কের আরও সংযোজন,  'যাঁরা বন্দুক দেখিয়ে ভোটে জেতেন, তাঁদের জনগণের প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা থাকে না। তাঁরা মনে করেন ওই ভাবে বারবার জিতে যাবে। আমি তেমন ভাবে জিতিনি। জিততে চাই না। আমি জিতেছি মা মাটি মানুষের নেত্রী দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ আর আপনাদের ভালোবাসায়। আমি আপনাদের প্রতি দায়বদ্ধ কৃতজ্ঞ আভূমি প্রণত।’

Advertisement

 

সম্প্রতি ফেসবুকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা টেনে এনেছিলেন মনোরঞ্জন। ওই ভোটে ‘রিভলভার দেখিয়ে কাউকে’ মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হয়নি বলেও ফেসবুকে লেখেন তিনি। তাঁর নিশানায় ছিলেন হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাই অতনু। মনোরঞ্জনবাবুর দাবি, হুগলি জেলায় তৃণমূলের একাংশ বিজেপির হয়ে কাজ করছে। তাদের কার্যকলাপে তৃণমূলের থেকে মুখ ঘোরাচ্ছে মানুষ। পঞ্চায়েত দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। সেসবে বাধা দেওয়াতেই চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন তিনি। তাঁকে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। এবার দলের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধেই যেভাবে প্রকাশ্যে বন্দুক, রিভলবার দেখিয়ে ভোটে জেতার অভিযোগ তুললেন বলাগড়ের বিধায়ক, তাতে নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূলের৷ এমন কি, সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যকে অস্ত্র করে পারে বিরোধীরাও৷ 

প্রসঙ্গত বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই তাঁর বিধানসভা এলাকায় দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারি৷ এমন কি, তাঁকে ভোটে হারিয়ে দেওয়ারও চক্রান্ত হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি৷ 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement