আবারও ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) করে আত্মহত্যা। এবার ঘটনাস্থল হুগলির ব্যান্ডেলের কেওটার মিলিটারি কলোনি এলাকা। আত্মঘাতী যুবক বিজেপি (BJP) কর্মী বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার জন্য ফেসবুক লাইভে স্থানীয় এক ক্লাবের কর্মকর্তাকে দায়ী করে গিয়েছেন অভিষেক চৌধুরী নামে ওই যুবক। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ফেসবুক লাইভ করে আত্মঘাতী হন অভিষেক চৌধুরী। তিনি বলেন, "আমি জানি না কার জন্য মরছি। কুণাল সরকার বলে, বড় বড় মন্ত্রী নাকি ওর সঙ্গে আছে। ওর স্ত্রী পুরসভায় চাকরি করে। আমার খুব খারাপ লাগছে। মরতে হবে আমাকে, কিছু করার নেই। কুণাল আমাকে বলেছে, আজকে তুই বিজেপির মিছিলে হেঁটেছিস। ও বলেছে, তোকে বিজেপি করতে দেব না। কিছু করতে দেব না। বাবাই দাদাকে বলিস, আমি ওকে খুব ভালবাসি। সকলে ভাল থেকো। খুশিতে থেকো। আমার একটা পা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিজেপি করি বলে আমার অপরাধ! আমি আত্মহত্যা করছি।"
লাইভটি নজরে আসার পরেই অভিষেকের বাড়িতে যান তাঁর বন্ধুরা। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এই ঘটনার কিছু সময় পর অভিযুক্ত কুণাল সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করা হয়েছে।
ঘটনায় চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে জানান, "এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি মর্মাহত। ওকে কেউ হুমকি দিলে উচিত ছিল থানায় অভিযোগ করা। ওর দলের পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা উচিত ছিল। কী হয়েছে জানি না। লিখিত অভিযোগ পেলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি বিধায়ক। ও আমাকেও বিষয়টা জানাতে পারত।" অন্যদিকে এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ, অভিষেককে যেভাবে মানসিক ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, তার জেরেই তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন - কোলে আলো আসার আগে মাতৃত্বকে উপভোগ বিপাশার, Video