Advertisement

মেশিন দিয়ে মলদ্বারে হাওয়া, মৃত্যু হল সেই জুটমিল শ্রমিকের

সব চেষ্টা বিফলে গেল। অবশেষে হুগলির চাঁপদানির নর্থব্রুক জুট মিলের শ্রমিকের নিথর দেহ বাড়ি ফিরল। মলদ্বারে জোর করে যন্ত্র দিয়ে হাওয়া ঢুকিয়ে দেওয়ায় ঘটনায় শেষপর্যন্ত মৃত্যু হল ওই জুটমিল শ্রমিকের।

মৃত শ্রমিকের লিভার সহ একাধিক শারীরিক যন্ত্রাংশ ঝাঁঝরা হয়ে যায়
ভোলানাথ সাহা
  • চাঁপদানি,
  • 25 Nov 2021,
  • अपडेटेड 4:10 PM IST
  • মলদ্বারে জোর করে যন্ত্র দিয়ে হাওয়া
  • হাসপাতালে মারাই গেল জুটমিল শ্রমিক
  • মৃত শ্রমিকের লিভার সহ একাধিক শারীরিক যন্ত্রাংশ ঝাঁঝরা হয়ে যায়

সব চেষ্টা বিফলে গেল। অবশেষে হুগলির চাঁপদানির  নর্থব্রুক জুট মিলের  শ্রমিকের নিথর দেহ বাড়ি ফিরল। মলদ্বারে জোর করে যন্ত্র দিয়ে হাওয়া ঢুকিয়ে দেওয়ায় ঘটনায় শেষপর্যন্ত মৃত্যু হল ওই জুটমিল শ্রমিকের। মৃত শ্রমিকের লিভার সহ একাধিক শারীরিক যন্ত্রাংশ ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।

ইএসআই ,চন্দননগর, চুঁচুড়া ঘুরে রহমোত্তুল্লাকে ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে। সেখানেই বুধবার শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই যুবক। বৃহস্পতিবার দেহ চাঁপদানিতে আসতেই পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-স্বজন,প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন শেষ দেখা দেখতে। শোকের ছায়ার মাঝেই দোষিদের শাস্তি চাইছেন সকলে। আর কোনোদিন ফিরবেন না   রহমত আলি, কিন্তু এই রকম জঘন্য কাজ যেন আর না ঘটে, সেই দাবি উঠছে। 

মলদ্বারে জুটমিলের মেশিন পরিষ্কার করার হাওয়া পাইপ দিয়ে হাওয়া দেওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ল ২১ বছরের রহমত আলি। চাঁপদানির ৭ নং ওয়ার্ডের ছাই মাঠের বাসিন্দা রহমত কাজ করত নর্থব্রুক জুটমিলের ওয়েন্ডিং বিভাগে। রাতে মেশিন পরিষ্কার করার সময় চালু অবস্থায় হাওয়া পাইপ রহমতের পেছনে অর্থাৎ  মলদ্বারে হাওয়া দিতে থাকে সাহাজাদা খান। বারণ করলেও শোনেনি সাহাজাদা। এরপর অন্যান্য শ্রমিকরা তাকে নিকটবর্তী ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যায়।অবস্থার অবনতি হলে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতাল সেখান থেকে কোলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

রহমত আলির সহকর্মী সাহাজাদা খানের বিরুদ্ধে  এব্যাপারে ভদ্রেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। পরিবারের দাবি, বিচার চাই। পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবিও জানান হয়েছে। 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement