মঙ্গলবার থেকে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হচ্ছে। নিউ টাউন বিশ্ব বঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। মোট ২ দিন ধরে এই বাণিজ্য সম্মেলন চলবে।
সূত্রের খবর, এবারের সম্মেলনের অন্যতম আমন্ত্রিত রিলায়েন্স গোষ্ঠীর প্রধান মুকেশ আম্বানি। এর পাশাপাশি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে একাধিক রিপোর্টে।
এই নিয়ে সপ্তমবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারেও বাণিজ্য সম্মেলনের মাধ্যমে রাজ্যে বিনিয়োগ, শিল্প স্থাপনের পরিবেশের বিষয়টি উদ্যোগপতিদের সামনে তুলে ধরা হবে। শিল্প টানার জন্য নিজেই বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এবারের প্রধান অতিথি হিসাবে হাজির থাকতে পারেন মুকেশ আম্বানি। দুপুর পৌনে দু'টো নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে পৌঁছে যাবেন।
এর পাশাপাশি এবারের বিশ্ব বাংলা সম্মেলনে দেশের তাবড় শিল্পপতিরা উপস্থিত থাকবেন। হর্ষবর্ধন নেওটিয়া, গোয়েঙ্কা গোষ্ঠীর চেয়ারপার্সন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, টিসিজি গ্রুপের পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, আইটিসি-র এমডি সঞ্জীব পুরী, জিন্দাল গ্রুপের কর্ণধার সজ্জন জিন্দালের মতো বড় শিল্পপতিরা সম্মেলনে যোগ দেবেন।
শুধু রাজ্য ও দেশেরই নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন, স্পেন, ফ্রান্স সহ মোট ২৮টি দেশের শিল্পক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেবেন।
রাজ্যে বিনিয়োগ আনার লক্ষ্যে সম্প্রতি স্পেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি মিলিয়ে তিন শহরে তিনটি সফর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই সময়েই কোন কোন সংস্থা কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলায় আসছে, তা-ও জানিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুবাইয়ের বিখ্যাত শপিং মল সংস্থা লুলু সিটি এবার কলকাতায় বিনিয়োগ করতে পারে। বাণিজ্য সম্মেলনে তাই তাদের প্রতিনিধিরা আসতে পারেন।
গত বছর বিশ্ববঙ্গ সম্মেলন থেকে ৩.৪২ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছিল। এমনটাই জানায় সরকার।
প্রসঙ্গত, বাণিজ্য সম্মেলনের আগের দিন এক্স হ্যান্ডেলে এর তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'BGBS সামিটে না থাকে বাণিজ্য, না থাকে গ্লোবাল। এটি শুধুমাত্র ঝকঝকে মিথ্যে বাংলা মানুষকে পরিবেশন করার একটি মঞ্চ। ১৫.৭ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসছে, প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ৬ এডিশনে। বাস্তবে কী ঘটেছে? এত বিনিয়োগে বাংলার কত ছেলেমেয়ে চাকরি পেলেন? দয়া করে প্রকাশ করুন। আমি ওঁকে (মুখ্যমন্ত্রী) জিগ্গেস করতে চাই, দেউচা পাঁচামিতে কী ঘটেছে? যেখানে ২ লক্ষ চাকরির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ওখানে কয়লা খনি থেকে ১ কিলো কয়লাও কি উত্তোলন করা হয়েছে? তাজপুরের বন্দরের কী খবর? ঘটা করে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।'