চলতি বছর পুজোর আগে পুরভোট? যা জানা যাচ্ছে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে রাজ্যের ৮টি পুরসভায় ভোট করাতে পারে নবান্ন। সেক্ষেত্রে অক্টোবরের আগেই হতে পারে হাওড়া পুরসভার নির্বাচন। তার আগেই ভাঙা হবে ওয়ার্ড। ইতিমধ্যেই হাওড়া জেলা প্রশাসনের কাছে হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ডের সীমানা পুনর্বিন্যাসের নির্দেশিকাও চলে এসেছে।
বর্তমানে হাওড়ায় ৫০টি ওয়ার্ড রয়েছে। সেগুলিকে ভেঙে করা হবে ৬৬। সরকারি সুযোগ-সুবিধা যাতে সকলে পান, সেজন্য এই সিদ্ধান্ত। বড় ওয়ার্ডগুলিকেই ভাঙা হবে নতুন করে পুনর্বিন্যাসে। গুরুত্ব পাবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জনসংখ্যাও। হাওড়ার ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌমেন রায়কে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন হাওড়া সদরের মহকুমা শাসক তরুণ ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত,হাওড়া থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করতে চেয়ে বিধানসভায় বিল পাশ হয়েছে। সেই ফাইলে সই করেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, বালির ১৬টি ওয়ার্ডকে আলাদা করার কারণ কী? এই টানাপোড়েনেই আটকে রয়েছে হাওড়ার পুরভোট। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দেন ধনখড়। তার পর নতুন করে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার।
তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর হাওড়া পুরনিগমের ভোটে জয়লাভ করে তৃণমূল। মেয়র হন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক রথীন চক্রবর্তী। তবে ২০২১ সালের ভোটের আগে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। প্রায় আড়াই বছর ধরে হাওড়ায় থমকে পুরভোট।