Advertisement

হোম ওয়ার্ক হয়নি কেন? হাওড়ায় ছাত্রের গায়ে গরম মোম ঢালল গৃহশিক্ষক

সালকিয়ার এক ফুল বিক্রেতার তিন ছেলে মেয়ে স্থানীয় গৃহশিক্ষক দীপক প্রজাপতির কাছে পড়ত। গত ১৪ আগস্ট সন্ধ্যেবেলায় দীপক ওই ফুল ব্যবসায়ীর বাড়িতে পড়াতে যায়। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না ফুল ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের ৩ ছেলেমেয়েকে পড়ানো শুরু করে দীপক। সেই সময় দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রটি পড়া না পারায় উত্তেজিত হয়ে পড়ে ওই গৃহশিক্ষক।

আহত ছাত্রআহত ছাত্র
বৈদ্য়নাথ ঝা
  • হাওড়া,
  • 26 Aug 2021,
  • अपडेटेड 3:51 PM IST
  • পড়া না পারার জের
  • ছাত্রের গায়ে গরম মোম ঢেলে দিল শিক্ষক
  • গোলাবাড়ি থানায় এফআইআর দায়ের

হোম ওয়ার্ক না করায় ছাত্রের গায় মোমবাতির গরম মোম ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর আহত দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্র। জখম ছাত্রের মা হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

পড়া না পারার জের

জানা গিয়েছে, সালকিয়ার এক ফুল বিক্রেতার তিন ছেলে মেয়ে স্থানীয় গৃহশিক্ষক দীপক প্রজাপতির কাছে পড়ত। গত ১৪ আগস্ট সন্ধ্যেবেলায় দীপক ওই ফুল ব্যবসায়ীর বাড়িতে পড়াতে যায়। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না ফুল ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের ৩ ছেলেমেয়েকে পড়ানো শুরু করে দীপক। সেই সময় দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রটি পড়া না পারায় উত্তেজিত হয়ে পড়ে ওই গৃহশিক্ষক। অভিযোগ, এরপরই মোমবাতি জ্বেলে গরম মোম ওই শিশুটির দেহের বিভিন্ন অংশে ঢেলে দেয় সে। পাশাপাশি শরীরে গরম হাতা দিয়ে ছ্যাঁকা দেয় বলেও অভিযোগ। যার জেরে শিশুটির হাতে, পায়ে ও পিঠে বড় বড় ফোসকা পড়ে যায়। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে সে। এরপর বাবা-মা ফিরলে তাঁদের সব জানায় ওই ছাত্রে দাদাদিদি।

আরও পড়ুন

গোলাবাড়ি থানায় এফআইআর

গুরুতর আহত অবস্থায় ছাত্রটিকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান তার বাবা-মা। চিকিৎসার পর তাকে নিয়ে গোলাবাড়ি থানায় গিয়ে গোটা ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়। পরেরদিন হাওড়া জেলা হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শিশুটির চিকিৎসা করেন। এরপর গত ১৯ অগাস্ট দীপক প্রজাপতি নামে ওই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে গোলাবাড়ি থানায় এফআইআর করেন ছাত্রটির মা।

কিন্তু এফআইআর-এর পরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবি ছাত্রের পরিবারের। যার জেরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় বুধবার হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন আহতের মা। এরপর কমিশনারের নির্দেশে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ নড়েচড়ে বসে। তবে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা যায়নি অভিযুক্তকে। যদিও অভিযুক্ত ওই গৃহশিক্ষকের গ্রেফতারির ও উচিত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিশুটির পরিবারের সদস্যরা।  

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement