
বছর ঘুরলেই বঙ্গে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সোমবার হুমায়ুনের নতুন দল 'জনতা উন্নয়ন পার্টি'র আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হয়ে গেল। নতুন দল তৈরির দিনই বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থীর নামও ঘোষণা করে দিলেন হুমায়ুন কবীরের। নিজে বিধানসভা নির্বাচনে ২টি আসন থেকে লড়াই করবেন হুমায়ুন। সেইসঙ্গে প্রার্থী হিসেবে এদিন দুই হিন্দু ব্রাহ্মণ মহিলার নাম ঘোষণা করেও চমকে দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক।
সোমবার দুপুর ১টায় নিজের রাজনৈতিক দলের নাম এবং রাজ্য কমিটি ঘোষণা করেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। প্রকাশ করা হয় দলের পতাকাও। দলের পতাকায় রয়েছে তিনটি রং— হলুদ, সবুজ এবং সাদা। সেইসঙ্গে দল ঘোষণার দিনের তাঁর দলের প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করে চমকে দেন তিনি। মঞ্চ থেকে জানিয়ে দেন ভরতপুর ও রেজিনগর, দুই কেন্দ্র থেকে নিজেই লড়বেন বিধানসভা ভোটে। নতুন দল ঘোষণার পরেই সেই দলের সভাপতির নামও ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। জানান আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দলের প্রথম প্রার্থীর নামও। হাজী ইবরার হোসেনকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জনতা উন্নয়ন পার্টির সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাঁকেই খড়গপুর গ্রামীণ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। মালদার বৈষ্ণবনগরের প্রার্থী হচ্ছেন মুস্তারা বিবি। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের প্রার্থী করা হচ্ছে মনীষা পাণ্ডেকে।এরআগে মনীষা পাণ্ডে ছিলেন তৃণমূলের নেত্রী। ভগবানগোলায় লড়বেন আর এক হুমায়ুন কবীর। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। রানিনগর থেকে যিনি লড়বেন, তাঁর নামও হুমায়ুন কবীর। দক্ষিণ দিনাজপুরের ধনিরাম বিধানসভার প্রার্থীর নাম ডঃ ওয়েদুল রহমান। কলকাতার বালিগঞ্জ বিধানসভা, যেখানে উপনির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন, সেই কেন্দ্র থেকে জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রতীকে লড়াই করবেন নিশা চট্টোপাধ্যায়। ইছাপুরের প্রার্থীর নাম সিরাজুল মন্ডল। অর্থাৎ শুধু মালদা-মুর্শিদাবাদে সীমাবদ্ধ থাকছেন না হুমায়ুন। বালিগঞ্জ, ইছাপুরের মতো কেন্দ্রেও 'জনতা উন্নয়ন পার্টি'র প্রার্থীর নামও ঘোষণা করা দিলেন। সেইসঙ্গে ইস্তেহার প্রকাশ করেন। রানিনগরের প্রার্থী ডাঃ হুমায়ুন কবীর ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কংগ্রেসের কাছে হেরে যান। অর্থাৎ, যা দাঁড়াল, তা হল চার চারটি আসনে লড়ছেন ভিন্ন ভিন্ন হুমায়ুন। দু'টিতে একা দলনেতা হুমায়ুন কবীর। বাকি দুটিতে আরও দুই।
প্রসঙ্গত, হুমায়ুন কবীর আগেই জানিয়েছিলেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত ৯০টি আসনে জয়ী হওয়াই তাঁর লক্ষ্য। কারণ, তৃণমূল বা বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে, তারা কেউই হুমায়ুনকে মসজিদ গড়তে দেবে না। তাই সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখতে অন্তত ৯০টি আসনে জেতাতে হবে তাঁর নতুন দলকে। হুমায়ুন দাবি করেছেন, ৯০ আসন জিততে পারলে তাঁর দল রাজ্যে সরকার গঠনের কাণ্ডারি হবে ৷ পাশাপাশি এদিন মঞ্চ থেকে হুমায়ুন জানিয়ে দেন আগামী জানুয়ারি মাসে ব্রিগেডে সভা করবেন তিনি।