
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় নতুন করে বাবরি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জেলায় তীব্র রাজনৈতিক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। ভরতপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির দাবি করেছেন, 'মুর্শিদাবাদে ৩৭ শতাংশ মুসলিমের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশেরই ক্ষোভ জমে আছে। সেই কারণেই নতুন বাবরি মসজিদ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
ইতিমধ্যেই এলাকায় পোস্টার পড়ে গিয়েছে, যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ, ৬ ডিসেম্বর শিলান্যাস। এই পোস্টার ঘিরেই উত্তেজনা চরমে। যেখানে মসজিদ নির্মাণ হবে বলে জানানো হয়েছে, সেই জায়গা ইতোমধ্যেই ঘিরে ফেলা হয়েছে।
হুমায়ুন কবির বলেন, 'আমরা ঠিক করেছি, ৬ ডিসেম্বরই বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। জায়গা ঠিক হয়ে গিয়েছে, প্রস্তুতিও চলছে। মসজিদটি তৈরি করতে প্রায় তিন বছর সময় লাগবে। অনুষ্ঠানে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও ধর্মগুরুরা উপস্থিত থাকবেন।'
এলাকায় ইতোমধ্যেই একাধিক সংগঠন এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। তবে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, এই ঘোষণা কেন এখন? এর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কী?
৬ ডিসেম্বর তারিখটি বাবরি মসজিদের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেই দিনেই বেলডাঙ্গায় শিলান্যাসের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্ক ছড়িয়েছে। পাশাপাশি, এই বিতর্কের মধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ৩ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক মহলের নজর এখন এই দিকে যে, মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফরের সময় তিনি এই বিতর্কিত বাবরি মসজিদ নির্মাণ এবং তার জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেন কিনা।