
বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস অনুষ্ঠান। নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করেছেন তৃণমূলের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। রাজ্যের নানা প্রান্ত তথা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জড়ো হয়েছেন অসংখ্য মানুষ, ধর্মগুরু, কাজীরা।
> বাবরি মসজিদের ধ্বংসের দিন প্রতি বছর সংহতি যাত্রা পালন করে বামেরা। এদিনও বামফ্রন্টের সংহতি মিছিলের নেতৃত্বে CPIM-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সলিম। সঙ্গে CPI, RSP এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য নেতৃত্বও।
> সনাতন সমাজ আয়োজিত এই শৌর্য যাত্রায় উপস্থিত রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
> একদিকে ঠাকুরনগরে সুব্রত ঠাকুর, শান্তনু ঠাকুর এবং শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে হচ্ছে BJP-র সংকল্প যাত্রা। অন্যদিকে, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের শৌর্য যাত্রা চলছে কলকাতায়।
> এদিন হুমায়ুন কবীর কটাক্ষের সুরে বলেন, 'আমার মাথার দাম রেখেছে এক কোটি টাকা। কেউ যদি মনে করে উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ থেকে এসে বলবে ইট খুলে দেব, তাহলে বলি আপনারা হুমায়ুনের কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবেন না।'
> ভরতপুরের সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'আগামী ২২ তারিখ, বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে নতুন দল ঘোষণা করব।'
> বাবরি মসজিদ নির্মাণের মোট বাজেট ৩০০ কোটি। শিলান্যাস করে জানালেন হুমায়ুন কবীর। তিনি এদিন মঞ্চ থেকে বলেন, 'আমি কোনও অসাংবিধানিক কাজ করছি না। হাইকোর্ট বলে দিয়েছে , হুমায়ুন কবীর কোনও অসাংবিধানিক কাজ করেনি।বাবরি মসজিদ হবে হবে হবে। কেউ আটকাতে পারবে না। এটা মুসলমানের সম্মানের লড়াই। শুধু মসজিদ নয়, হাসপাতাল, স্কুল, হেলিপ্যাড, পার্ক, হোটেল সব হবে বাবরিকে ঘিরে। মোট বাজেট ৩০০ কোটি। আমরা বাবরি মসজিদ করার উদ্যোগ নিতেই একদল রাম মন্দির বানাতে গেল। আমরা বাধা দিইনি।'
> ধর্মের নামে বিভাজনের চেষ্টা করছে। আর তাতে সাহায্য করছে আমাদের কিছু মীরজাফর: তৃণমূলের সংহতি সভার মঞ্চ থেকে বললেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি আরও বলেন, 'ধর্মান্ধতার কারণে আজ পাকিস্তান এত পিছিয়ে আছে। আর ধর্মনিরপেক্ষতার কারণে ভারত এতটা এগিয়ে। এখন বাংলাতেও সুড়সুড়ি দেওয়া হচ্ছে। কেউ মন্দিরের নামে, কেউ মসজিদের নামে সুড়সুড়ি দিচ্ছে। '
> চোখে চোখ রেখে লড়াই করছেন একমাত্র নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
> দুপুর দেড়টা নাগাদ বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
> বেলডাঙার মাঠে শিলান্যাস অনুষ্ঠানস্থলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। সকলকে ধৈর্য রাখার অনুরোধ আয়োজকদের।
> হুমায়ুনের মতে, ২৫ বিঘার জমিতে মসজিদের শিলান্যাসে জড়ো হবেন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ।
> সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে প্রায় ৬০–৭০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে মঞ্চ তৈরিতে ব্যয় ১০ লক্ষ টাকা। ২ থেকে ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক মাঠে রয়েছেন। রান্নার দায়িত্বে ৭টি কেটারিং সংস্থা, তৈরি হচ্ছে ৪০ হাজার ‘শাহি বিরিয়ানি’। খাবারের আয়োজনে খরচ প্রায় ৩০ লক্ষ। সব মিলিয়ে আয়োজকদের দাবি অনুযায়ী প্রায় ৬-৭ কোটি বাজেট রয়েছে এই শিলান্যাস অনুষ্ঠানে।
> কলকাতা হাইকোর্ট শিলান্যাসের অনুমতি দিলেও কড়া নিরাপত্তার নির্দেশ রয়েছে। মরাদিঘি মোড়ের বিশাল মাঠে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মঞ্চ বাঁধার কাজ চলেছে। নজরদারিতে কুইক রেসপন্স টিম, র্যাফ, ভিলেজ পুলিশ থেকে মহিলা কনস্টেবল। মাঠের চারপাশে টহল দিচ্ছেন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরাও।
> জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, দু’জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক, ৩০ জন DSP, ১০০ ইন্সপেক্টর, ২০০ সাব–ইন্সপেক্টর/ASI, কনস্টেবল, লেডি কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ থাকবে। এছাড়াও গোয়েন্দা বিভাগের ৩০ জন আধিকারিক। সবমিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে।
> হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, অনেক কুৎসা, বাধা পেরিয়ে শিলান্যাস হচ্ছে অবশেষে। ২৫ বিঘা জমির উপর তৈরি হবে মসজিদ। সঙ্গে তৈরি হবে স্কুল, চিকিৎসা কেন্দ্র। এক সহৃদয় মুসলিম ব্যক্তি এই মসজি নির্মাণের জন্য ৮০ কোটি টাকা দেবেন বলে দাবি করেছেন হুমায়ুন।