Advertisement

Hooghly wife affair with friend: স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর সম্পর্ক, পরকীয়ার জেরে খুন হুগলীতে, গ্রেফতার স্বামী

বন্ধু বাড়িতে আসতেন আড্ডা দিতে, স্ত্রী গল্প করতেন – কিছুই অস্বাভাবিক লাগেনি অভিজিৎ সরকারের। কিন্তু অজান্তেই স্ত্রী তলিয়ে গিয়েছিলেন বন্ধুর প্রেমে। ধীরে ধীরে দাম্পত্যে ফাটল, শুরু হয় সন্দেহ। একদিন স্ত্রীর ফোনেই প্রেমিককে পাড়ার শিবমন্দিরে ডেকে আনেন অভিজিৎ।

খুনের ঘটনাস্থলে পুলিশ।-নিজস্ব ছবিখুনের ঘটনাস্থলে পুলিশ।-নিজস্ব ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 12 May 2025,
  • अपडेटेड 6:51 PM IST
  • বন্ধু বাড়িতে আসতেন আড্ডা দিতে, স্ত্রী গল্প করতেন – কিছুই অস্বাভাবিক লাগেনি অভিজিৎ সরকারের।
  • কিন্তু অজান্তেই স্ত্রী তলিয়ে গিয়েছিলেন বন্ধুর প্রেমে।

বন্ধু বাড়িতে আসতেন আড্ডা দিতে, স্ত্রী গল্প করতেন – কিছুই অস্বাভাবিক লাগেনি অভিজিৎ সরকারের। কিন্তু অজান্তেই স্ত্রী তলিয়ে গিয়েছিলেন বন্ধুর প্রেমে। ধীরে ধীরে দাম্পত্যে ফাটল, শুরু হয় সন্দেহ। একদিন স্ত্রীর ফোনেই প্রেমিককে পাড়ার শিবমন্দিরে ডেকে আনেন অভিজিৎ। আর সেখানেই ঘটে রোমহর্ষক পরিণতি! প্রেমিক রাজ বর্মনকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন অভিজিৎ, স্ত্রীর সামনেই। রক্তাক্ত রাজকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। পোলবায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। গ্রেফতার অভিযুক্ত। 

কী ঘটেছে?
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পোলবার মহানাদের বাসিন্দা সাগরিকা সরকারের সঙ্গে চার বছর আগে বিয়ে হয় নবদ্বীপের অভিজিৎ সরকারের। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক সুখের ছিল না বলে অভিযোগ। অভিজিতের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাজ বর্মনের সঙ্গে সাগরিকার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি শুরু হয়।

ঘটনার দিন
কয়েকদিন আগে অভিজিৎ এবং সাগরিকার মধ্যে ঝগড়া হলে, সাগরিকা মায়ের বাড়ি মহানাদে চলে আসেন। সোমবার রাতে সাগরিকার সঙ্গে দেখা করতে আসেন রাজ। পাড়ার শিবমন্দিরে দু’জনের দেখা হয়। সাগরিকার দাবি, তার স্বামী তাকে দিয়ে ফোন করিয়ে রাজ কোথায় আছে তা জানতে চায়। এরপরই সে গিয়ে শিবমন্দিরে থাকা রাজকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।

হাসপাতালে মৃত্যু
চোখের সামনে প্রেমিককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন সাগরিকা। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা আহত রাজকে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পরিবারের প্রতিক্রিয়া
সাগরিকার মা কল্যাণী সরকার জানিয়েছেন, মেয়েকে অনেক কষ্টে মানুষ করে বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলত। সেই কারণেই মেয়ের রাজের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েও চেয়েছিল রাজের সঙ্গেই নতুন জীবন শুরু করতে।

সাগরিকার বক্তব্য
ঘটনার পর সাগরিকা বলেন, "আমি রাজকে ভালোবাসতাম। ওর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। কিন্তু আমার স্বামী ফোন করিয়ে জেনে নেয় রাজ এসেছে কিনা। আমি তাকে চলে যেতে বলি। এর মধ্যেই অভিজিৎ এসে ওকে ছুরি দিয়ে কোপায়।"

Advertisement

তদন্তে পুলিশ
পোলবা থানার পুলিশ অভিযুক্ত অভিজিৎ সরকারকে গ্রেফতার করেছে। মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, পরকীয়ার কারণে খুন হলেও এর পেছনে আর কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
 

 

TAGS:
Read more!
Advertisement
Advertisement